
দল জিতলে অবদানগুলো ভালো লাগে: মোসাদ্দেক
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার মোসাদ্দেক হোসেন। তবে সর্বশেষ বিপিএলে ভালো করতে পারেননি এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) দিয়ে ফিরে আবারও ব্যাট হাতে চমক দেখাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার মোসাদ্দেক হোসেন। তবে সর্বশেষ বিপিএলে ভালো করতে পারেননি এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) দিয়ে ফিরে আবারও ব্যাট হাতে চমক দেখাচ্ছেন তিনি।
রূপগঞ্জ টাইগার্সকে হারিয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। তারা ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে। আল আমিন জুনিয়রের সেঞ্চুরিতে ভর করে আগে ব্যাট করে ২৬০ রানের মাঝারি পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল রুপগঞ্জ টাইগার্স। সেই লক্ষ্য ১৫ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে আবাহনী।
নাইম শেখের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সাব্বির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাজ্জাদুল হক রিপনের ব্যাটে ৪২২ রানের রেকর্ড পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এমন রান তাড়া করে ব্রাদার্স ইউনিয়নের জয় পাওয়াটা প্রায় অসম্ভবই ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। আইচ মোল্লার ৯৬ রানের আক্ষেপে মোড়ানো ইনিংসের পরও ২৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। রেকর্ড পুঁজির পর রিশাদ হোসেন, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে ১৭৩ রানের বড় জয়ই পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
নিজের নবম ওভারে তামিম ইকবালকে কিছুটা চাপেই রেখেছিলেন শহিদুল ইসলাম। সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়কও ঝুঁকি নিতে চাইছিলেন না। তবে প্রথম চার বল ডট দেয়ার পর শহিদুলকে আর সুযোগ দিলেন না তামিম। বাঁহাতি স্পিনারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ওয়াইড লং অনে দিয়ে ছক্কা মেরেছেন তিনি। চিরচেনা শটে তামিম সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১০৩ বলে।
সালাউদ্দিন শাকিলের স্লোয়ার ডেলিভারিতে কাভারের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন নাইম শেখ। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে ১৮ চার, ৮ ছক্কা ও ১৪০.৮০ স্ট্রাইক রেটে ১২৫ বলে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি এই ওপেনারকে। নাইম যখন ফিরলেন তখন ৩৮.৩ ওভারে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের রান তখন ৪ উইকেটে ৩১০।
ইনিংসের প্রথম বলেই আল আমিন হোসেনের অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া লেংথ ডেলিভারিতে চার মেরে শুরু করেছিলেন নাইম শেখ। চার মেরে রানের খাতা খোলা বাঁহাতি ওপেনার নিজের ব্যাটিং ইনিংসে চার মেরেছেন আরও ১৭টি। চারের সঙ্গে নাইমের ব্যাট থেকে এসেছে ছক্কাও। পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি মেজাজের ব্যাটিংয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বোলারদের তুলোধুনো করেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই ওপেনার।
মিজানুর রহমান ও মাহফিজুল ইসলামের রেকর্ড জুটিতে ভর করে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। এই ম্যাচে ব্রাদার্সের এই দুই ব্যাটার এমন কিছুই করেছেন যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেই বিরল। শাইনপুকুরের দেয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ব্রাদার্স।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মধ্যকার ম্যাচে রান বন্যা হয়েছে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৪০ রান হয়েছে। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রান তোলে ধানমন্ডি। মূলত ইয়াসির আলী চৌধুরির ১২১ বলে খেলা ১৪৩ রানের ইনিংসে এই বিশাল পুঁজি পায় ধানমন্ডি।
বিজয় না পারলেও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয়ের ভিতটা গড়ে দেন সাদিকুর রহমান ও তোফায়েল আহমেদ। হাফ সেঞ্চুরির পর তোফায়েল ফিরলেও সেঞ্চুরির পথেই ছুঁটছিলেন সাদিকুর। তবে রুয়েল মিয়ার স্লোয়ার ডেলিভারিতে ইন সাইড এজ হয়ে আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন ৮৯ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। সাদিকুরের সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপের দিনে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স জয় পেয়েছে ৪ উইকেটে। হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২ উইকেট নিয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন তোফায়েল।
ডিপিএলের প্রথম ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনার গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে করেছেন সেঞ্চুরি। পারভেজ ইমনের ১২৪ বলে ১২৬ রানের ইনিংসে বড় পুঁজির ভিত পায় আবহনী লিমিটেড। তরুণ ওপেনারের সঙ্গে ১৭১ রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি নিজেও ৭২ রান করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাদের দুজনের ব্যাটেই ৬ উইকেটে ৩২৩ রান তোলে আবাহনী।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংককে ৩ উইকেটে হারিয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ৩০০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ বল হাতে রেখেই জয় পেয়েছে সাব্বির রহমানের দল। তবে তাদের জয়টা খুব একটা সহজ ছিল না। দলটি যখন সপ্তম উইকেট হারিয়ে ফেলে তখনও তারা পিছিয়ে ৮৬ রানে।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডে ২২ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় রাউন্ডে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ১৪ রান। মোহামেডানের অধিনায়কের ব্যর্থতার দিনে ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রনি তালুকদারও। তবে অবিচ্ছিন্ন ১১৯ রানের জুটি গড়ে মোহামেডানকে জয় এনে দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয়ই পেয়েছে তারকায় ঠাঁসা মোহামেডান।