মুরাদ-নাঈমের ঘূর্ণির পর ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ ‘এ’

ছবি: নাইম হাসান ও হাসান মুরাদ

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। জাকির হাসান ৮৯ বলে ৫০ রান করেছেন। এ ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল এনামুল হক বিজয় (১৬) ও সোহান (২৭)। আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষদিকে ৫ রানের মধ্যে বাংলাদেশ মুরাদ, মোহাম্মদ এনামুল, ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদের উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
মুরাদের স্পিন সামলে কেলির সেঞ্চুরি, বড় সংগ্রহের পথে কিউইরা
১৬ মে ২৫
স্বাগতিকদের রান তাড়ার মাঝেই নেমেছিল বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিও বাংলাদেশের হার থামাতে পারেনি। আদি অশোক ৫৪ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এই ডানহাতি স্পিনারের ঘূর্ণিতেই বাংলাদেশ 'এ' দলের ইনিংস গুটিয়ে গেছে। ৩টি উইকেট নিয়েছেন জেইডেন লেনক্স। বাকি দুটি উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক ও জস ক্লার্কসন। এর মধ্যে দিয়ে দুটি চার দিনের ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা।
এর আগে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ম্যাচের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল নিউজিল্যান্ড 'এ' দলের কাছে। প্রথম ইনিংসে ২৫৬ রান করার পর বাংলাদেশকে ২৬৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল কিউইরা। ১২ রানে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্যের ইঙ্গিত দিচ্ছিল সফরকারীরা। তবে সেটা হতে দেননি বাংলাদেশের দুই স্পিনার হাসান মুরাদ ও নাঈম হাসান।

নিক কেলির সেঞ্চুরিতে ভর করে আগের দিনই ২০৪ রানের লিড নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ দিন সকালে তাদের দাঁড়াতেই দেননি নাঈম ও মুরাদ। কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস এই দুই স্পিনার মিলে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ২৫৭ রানে। ফলে বাংলাদেশ 'এ' দলের সামনে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে।
১২ রানের লিড নিয়ে ২৬৮ রানে অল আউট সোহানরা
১৬ মে ২৫দিনের শুরুতেই সেঞ্চুরি হাঁকানো কেলিকে ব্যক্তিগত ১২২ রানে বোল্ড করেন নাঈম। এরপর আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটার মিচেল হেইকে এলবিডব্লিউ করে আউট করেন হাসান মুরাদ। থিতু হওয়ার আগেই ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ককে বোল্ড করে ফেরান নাঈম। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি কিউইরা।
৪ রান করা আদিত্য অশোককে এলবিডব্লিউ করে আউট করেছেন নাঈমই। কিউইদের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন ৩২ বলে ২১ রান করা ড্যান ফক্সক্রফট। অলরাউন্ডার ফক্সক্রফট চেষ্টা করছিলেন রান কিছু বাড়াতে। একপ্রান্ত কিছুটা হলেও আগলে রেখেছিলেন তিনি।
তবে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ফিরে যান তিনি। তাকে আউট করেই পাঁচ উইকেট পূর্ণ হয় মুরাদের। বাংলাদেশের এই স্পিনার তিনি ৬১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন দ্বিতীয় ইনিংস। আর ৭৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাইম। বাকি একটি উইকেট নেন খালেদ আহমেদ।
আগের দিন তিন উইকেট নিয়ে কাজটা অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলেন মুরাদ। শেষদিন আরও ২ উইকেট যোগ করেই মাইলফলকে পৌঁছে যান এই স্পিনার। এনিয়ে ৩২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে মুরাদ ৫ উইকেট নেয়ার স্বাদ পেলেন ১৩তমবারের মতো। নাইম আগের দিন নিয়েছিলেন একটি উইকেট। তিনি এদিন তুলে নেন আরও ৩টি উইকেট।