ভারতের ‘কথায়’ বাংলাদেশে আসছে না শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানও

ছবি: ফাইল ছবি

সংবাদমাধ্যমটিকে শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিসিসিআই ইতোমধ্যে এসিসি ও চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে ঢাকায় সভা অনুষ্ঠিত হলে তারা অংশ নেবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক টানাপোড়নের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সিরিজ স্থগিতের পর বাংলাদেশ থেকে এসিসি সভা সরাতে চায় ভারত
১০ জুলাই ২৫
এমন অবস্থায় চলতি বছরের আগষ্টে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও সেটা না করে দিয়েছে ভারত। নতুন সূচি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসবে। একই কারণে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসিসি সভায় যোগ দিতে চান না বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তারা।

ভারতের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং ওমানের বোর্ডও ভেন্যু ইস্যুতে একই পথে হাঁটছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের কথায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বোর্ডগুলো। গুরুত্বপূর্ণ চারটি ক্রিকেট বোর্ড এমন আপত্তি জানানোর পরও ঢাকায় এসিসির সভা আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর এসিসি ও পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। এমনকি অনুরোধ জানালেও এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া দেননি তিনি।
বাংলাদেশে আসার জন্য বিসিসিআইকে চাপ দিচ্ছে পাকিস্তান
৮ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমটিকে একটি সূত্র বলেছে, ‘বিসিসিআই স্পষ্টভাবে এসিসি এবং চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবেও তারা ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।’
এসিসির সংবিধান অনুসারে, গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বোর্ডগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া ঢাকায় অনুষ্ঠিত সভায় নেয়া যেকোন সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গণ্য হতে পারে। এমন অবস্থায় এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়েও শঙ্কা তৈরি হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে পারে টুর্নামেন্টটি। তবে এসিসি সভা ইস্যুতে ভারতের এমন অবস্থান থাকলে সেটা জটিল হয়ে উঠতে পারে।
সূচি অনুযায়ী, এসিসি বার্ষিক সাধারণ সভার ৫ দিন বাকি রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভেন্যু পরিবর্তন নিয়ে এসিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। ইন্ডিয়া টুডের একটি সূত্র জানিয়েছে, এমন অবস্থার মধ্যেও ঢাকায় এসিসি সভার আয়োজন করতে ভারতকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন মহসিন নাকভি।