‘বাংলাদেশে খেলা এতো সহজ না, সেখানকার কন্ডিশনকে সম্মান করো’

ছবি: চার ওভারে মাত্র ছয় রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এমন উইকেটে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের দারুণ বোলিং আক্রমণে। তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব মিলে সফরকারীদের মাত্র ১১০ রানে থামিয়ে দেন।
পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে দেখছেন না আকমল
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
রান তাড়ায় বাংলাদেশও শুরুতে কিছুটা চাপে পড়ে। দ্রুত দুই ওপেনার ফিরে গেলেও তাওহীদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমন দায়িত্ব নিয়ে খেলে দলকে জয়ের পথ দেখান। তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটিতে তারা গড়েন দৃঢ় ভিত্তি, যার ওপর ভর করে ৭ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জেতে স্বাগতিকরা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে কামরান আকমল বলেন, 'বাংলাদেশ দূর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। মুস্তাফিজ চার ওভার বল করে মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছে। ২২/২৩ রান দিয়ে তাসকিন তিন উইকেট নিয়েছে। প্রথমে বোলিং করার সুবিধা বাংলাদেশ পুরোটাই লুফে নিয়েছে।'

‘পাকিস্তানের ৮ ব্যাটারের কেউই জানে না মুস্তাফিজকে কীভাবে খেলতে হবে’
৩ ঘন্টা আগে
পাকিস্তান ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বল হাতে তেমন কিছু করতে পারেনি। যদিও সালমান মির্জা নিজের প্রথম দুই ওভারে তানজিদ ও লিটনের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু এরপর সেই চাপ ধরে রাখতে পারেনি দলটি।
কামরান আরো বলেন, 'তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস আউট হবার পর একটি জুটি দাঁড়িয়ে যায় এবং ম্যাচ শেষ করে দেয়। এটাই পার্থক্য দুই দলের। যখন আপনার টার্গেট কম থাকবে, তখন দলের বেস্ট বোলারকে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সালমানকে আরো সক্রিয় হতে হবে।'
শেষে পাকিস্তান দলকে বাংলাদেশের কন্ডিশন বুঝে খেলার পরামর্শ দেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক, 'প্রথম ওভারে ৯ রান আসার পর মনে হচ্ছিলো পাকিস্তান ২০০ রানের জন্য ব্যাট করছে। আমার মনে হয়, টিম মিটিংয়েও এমন ভাবে খেলার কথাই তাদের বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ তাদের বলেনি যে, এটা লাহোর নয়, বাংলাদেশ। সেখানকার কন্ডিশন চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশে খেলাটা এতোটাও সহজ নয়। সেখানকার কন্ডিশনকে আপনার কিছুটা সম্মান প্রদর্শন করতেই হবে। যেই সম্মানটা গত ম্যাচে পাকিস্তান দলে দেখতে পাইনি। পাকিস্তান তাদের গতানুগতিক খেলাটাই খেলেছে।'