সাকিবের আউট নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ করতেই পারেন প্রতিপক্ষ গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক ইমরান তাহির। কেননা সাকিব যখন ব্যাট হাতে নামেন, তখন হ্যাট্রিক চান্স তাহিরের। কিন্তু সেই হ্যাট্রিক বলে সিঙ্গেল নিয়ে সাকিব খুলেন নিজের রানের খাতা। কিন্তু খুব বেশি সময় আর ২২ গজে থাকা হয়নি সাকিবের।
মঈন আলীর কর বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চান এই ব্যাটার। তবে ব্যাটের ফাক গলে বল এসে আঘাত করে সাকিবের শরীরে। সঙ্গে সঙ্গে উঠে লেগ বিফর উইকেটের আবেদন। সে আবেদনে অবশ্য সারা দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিতে দেরী করেনি গায়ানা।
আর সেই রিভিউতেই কপাল পুড়ে সাকিবের। দেখা যায়, ব্যাটে বা গ্লাভসে স্পর্শ না করেই, বল আঘাত করে সাকিবের শরীর। ফলে নিজের ভুল শুধরে আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে জানিয়ে দেন নিজের সিদ্ধান্ত।
মাত্র ১০০ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামা অ্যান্টিগা ২৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে পরে যায় বিপদে। অবশ্য আমির জাঙ্গুর ৫৭ বলে অপরাজিত ৫১ রানের সুবাদে ম্যাচটি জিতে নেয় দলটি। ১৪ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ফ্যাবিয়েন অ্যালেন। যদিও, প্রথম ইনিংসে আগে বল করে বেশ ভালো করেছিলো ইমাদ ওয়াসিমের দল। সাকিব পেয়েছিলো বল হাতে উইকেটের দেখাও।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সাকিবের দল অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকন্স আগে টসে জিতে নেয় বোলিং করার সিদ্ধান্ত। পাওয়ার প্লে অর্থাৎ ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারেই ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পরে যায় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
তবে সেই চাপ তারা কাটিয়ে উঠেন সাকিবের প্রথম ওভারেই। ইনিংসের ৭ ওভার করতে এসে প্রথম বলেই আল হাসান হজম করেন ছক্কা। পরের বল ডট দিলে, তৃতীয় বলে আবারও শাই হোপের ব্যাট থেকে আসে বাউন্ডারি। এরপর একটি সিঙ্গেলে সাকিবের প্রথম ওভার থেকে আসে ১১ রান।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই দূর্দান্ত কামব্যাক দেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম বলে চার হজম করলেও, দারুণ বুদ্ধিতে স্টাম্পিং করান গুঁড়াকেশ মোতিকে। দুই সিঙ্গেল আর এক চারে সেই ওভার থেকে আসে মাত্র ছয় রান। সাকিব পান টি-টয়েন্টিতে ৫০৪ তম উইকেট।
এদিন অবশ্য চার ওভারের কোটাই পূর্ণ করেন আল হাসান। যদিও, পরের দুই ওভারে পান্নি কোন উইকেটের দেখা। নিজের তৃতীয় ওভারে ৯ রান এবং ৪র্থ ওভারে মাত্র ২ রান দিলে, ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে নিজের বোলিং কোটা শেষ করেন এই অলরাউন্ডার।