কনওয়ে-নিকোলস-রাচিনের নৈপুণ্যে কিউইদের ছয়শ পার

ছবি: সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়ছেন ডেভন কনওয়ে, ফাইল ফটো

টেস্ট ইতিহাসে এই দুই দলের মধ্যে এটিই প্রথম ছয়শ ছাড়ানো সংগ্রহ। ২০১৬ সালে একই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডের করা আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল চার উইকেটে ৫৮২। এ দিন নতুন রেকর্ড গড়ল কিউইরা, মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই।
ফকসের ‘৯ উইকেটে’ নিউজিল্যান্ডের ৩৫৯ রানের জয়
৯ আগস্ট ২৫
টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে তিন ব্যাটারের দেড়শ রানের নজির খুব বেশি নেই। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচে সেই কীর্তিই গড়েছেন ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলস ও রাচিন রবীন্দ্র। এর আগে কেবল ইংল্যান্ড (১৯৩৮, ওভাল) ও ভারত (১৯৮৬, কানপুর) এক ইনিংসে তিন ব্যাটারের দেড়শ বা দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস পেয়েছিল।
দ্বিতীয় দিনের ৯১ ওভারে এসেছে ৪২৭ রান। কনওয়ে ১৫৩ রানে আউট হলেও, হেনরি নিকোলস ১৫০ ও রাচিন ১৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। রাচিন খেলেছেন মাত্র ১৩৯ বল, হাঁকিয়েছেন ২১ চার ও দুটি ছক্কা। নিকোলসের সঙ্গে তার জুটিতে এসেছে ২৫৬ রান।

দীর্ঘ সময় পর টেস্টে সেঞ্চুরি পেলেন কনওয়ে ও নিকোলস। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে কনওয়ের সর্বশেষ সেঞ্চুরি ছিল ১২২ রান। সিরিজের প্রথম টেস্টে ৮৮ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। এবার পেলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।
২১ বছর পর নিউজিল্যান্ডের চাকরি ছাড়লেন বব কার্টার
৮ আগস্ট ২৫
টেস্টে নিকোলসের এটি দশম সেঞ্চুরি। ২০২৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরির পর এটাই তার প্রথম তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস। চোট ও ফর্মহীনতায় পড়ে প্রায় দেড় বছর পর টেস্টে ফিরলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
রাচিনের ব্যাটিং ছিল সবচেয়ে আগ্রাসী। ফিফটি করেন ৪৮ বলে, সেঞ্চুরি ১০৪ বলে। একশ থেকে দেড়শতে পৌঁছাতে খেলেন মাত্র ২৯ বল। এ নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন ভিন্ন তিন দেশে।
নিউজিল্যান্ড ইনিংসের প্রথমভাগে ৫৫ বলে ৩৬ রান করেন অভিষিক্ত জ্যাকব ডাফি। কনওয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১১০ রানের জুটি গড়েন তিনি। পরে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে কনওয়ে বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি।
জিম্বাবুয়ের হয়ে রান দেওয়ার সেঞ্চুরি করেন তিনজন বোলার- মুজারাবানি, ট্রেভর গোয়ান্ডু এবং ভিনসেন্ট মাসেকেসা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা। নিউজিল্যান্ড পাঁচশ থেকে ছয়শ ছাড়ায় মাত্র ১২ ওভারে। দিন শেষে ড্রেসিং রুমে ফিরে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি।