সিয়ার্স-মুজারাবানিকে টপকে এপ্রিলের মাসসেরা মিরাজ

বাংলাদেশ
সিয়ার্স-মুজারাবানিকে টপকে এপ্রিলের মাসসেরা মিরাজ
মেহেদী হাসান মিরাজ, আইসিসি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ম্যাচের সিরিজে তিনটি ফাইফারের সঙ্গে একটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। আর তাতেই এপ্রিলের মাসসেরার মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। তার সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের পেসার বেন সিয়ার্স।

তাদেরকে টপকে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন মিরাজ। এই অলরাউন্ডার এবারই প্রথম আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন মিরাজ।

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট তুলে নেন এই অফ স্পিনার। দুই ফাইফারে ম্যাচে ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন। যদিও প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে যায় ৩ উইকেটে। এরপর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায়।

এই ম্যাচে টাইগারদের জয়ের নায়ক মিরাজ। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নেন ৫ উইকেট। এর ফলে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও হাতে উঠে তার। মাসসেরা হয়ে গর্বিত মিরাজ। আইসিসির এই পুরস্কারকে দারুণ সম্মানের মনে করেন তিনি।

এই টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, ‘আইসিসির মাসসেরা হওয়া অবিশ্বাস্য সম্মান। যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য আইসিসির পুরস্কারই সর্বোচ্চ, আর বৈশ্বিকভাবে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়াটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।'

তিনি আরও যোগ করেন, 'এসব মুহূর্ত আমার ক্যারিয়ারের গতিপথকে মনে করিয়ে দেয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে ২০১৬ অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় হওয়া ছিল আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা। এই পুরস্কারটিও তেমনই বিশেষ কিছু।’

মুজারাবানিও বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন মুজারাবানি। তিনি দুই টেস্টে নেন ১০ উইকেট। এর মধ্যে ৯টিই নিয়েছেন সিলেট টেস্টে। আর তাতেই ৪ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়েছে জিম্বাবুয়ে। সিলেট টেস্টের সেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি।

এদিকে সিয়ার্সও বল হাতে চমক দেখিয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পেছনে বড় অবদান রেখেছেন এই পেসার। প্রথম ম্যাচে ছিলেন না সিয়ার্স। যদিও শেষ দুই ওয়ানডেতে সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান, পাঁচটি–পাঁচটি করে নেন ১০ উইকেট। আর তাতেই মাসসেরার মনোনয়ন পান তিনি।

আরো পড়ুন: ব্লেসিং মুজারাবানি