টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে আছে বাংলাদেশ। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এসেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিমরা। ঘরের মাঠে জিতেছেন পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও। হ্যাটট্রিক সিরিজ জিয়ে নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকবে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচটা হংকংয়ের সঙ্গে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই একটু স্বস্তিতে থাকবেন ক্রিকেটাররা।
যদিও হংকংকে সহজভাবে নিচ্ছেন না লিটন। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানান, প্রতিপক্ষ ভালো ক্রিকেট খেলে ফেললে তখন বড় ব্যবধানে জেতাটা কঠিন হয়ে যাবে। তবে নিজেদের শতভাগ দিয়ে সবার আগে জয় নিশ্চিত করতে চান। লিটন বলেন, ‘তারা যদি ভালো ক্রিকেট খেলে বসে তাহলে সেক্ষেত্রে কিন্তু বড় ব্যবধানে জেতাটা কষ্টকর হয়ে যাবে। আমরা আমাদের শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করব এবং ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব। প্রথমত, মেইন টার্গেট ম্যাচ জেতা।’
একই গ্রুপে থাকা আফগানিস্তান প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৯৪ রানে হারিয়েছে। সুপার ফোরে যাওয়ার ত্রিমুখী লড়াইটা হবে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবে শক্তি ও সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা হংকংয়ের বিপক্ষে কারা কত ব্যবধানে জয় পাচ্ছে সেটা বড় প্রভাব রাখবে সুপার ফোরে যাওয়ার ক্ষেত্রে। তিনটি দলই যদি দুইটা করে ম্যাচ জেতে তখন রান রেট বড় ভূমিকা রাখবে। এসব ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকলেও হিতে বিপরীত কিছু হোক সেটা চান না লিটন।
তিনি বলেন, ‘দেখুন—যেটা বললাম আপনার ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকতেই পারে। আপনাকে ওইদিনে বুঝতে হবে আমরা কতখানি নিতে পারব। জিনিসটা হিতে বিপরীত যেন না হয়—রান রেট বাড়াতে গিয়ে যেন ম্যাচ না হারি। প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে আগে ম্যাচ জেতা। আমরা যদি ভালো অবস্থায় থাকি আমাদের চিন্তা পরিবর্তনও হতে পারে।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক জানান, তাদের প্রথম লক্ষ্য সুপার ফোরে যাওয়া। লিটন বলেন, ‘এশিয়া কাপে এটা আমাদের প্রথম ম্যাচ। আপনারা জানেন আমাদের গ্রুপটা একটু ট্রিকি। আমরা যদি দ্বিতীয় রাউন্ডের (সুপার ফোর) জন্য কোয়ালিফাই করতে চাই তাহলে আমাদেরকে প্রত্যেকটা ম্যাচই জিততে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া। প্রত্যেকটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’