আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারত ও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ভারতের ১৬ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে মাত্র একটিতে। ২০১৯ সালে নাইম শেখের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি লিটন দাসরা। ওয়ানডেতে অবশ্য ভারতের সঙ্গে দুইটা সিরিজ জেতার রেকর্ড আছে।
মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়েও মাঠের বাইরের কাণ্ডের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচ নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রোহিত শর্মার সেই বিতর্কিত নট আউট বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ের দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতিও ক্রিকেট ম্যাচে রোমাঞ্চ তৈরি করেছে। সিমন্স অবশ্য মনে করেন, টি-টোয়েন্টি এক নম্বর দলের সঙ্গে খেলা হওয়ায় এমন হাইপ থাকে।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচেই হাইপ থাকবে। বিশেষ করে ভারতের ম্যাচে হাইপ থাকবেই। কারণ তারা বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল। সুতরাং অবশ্যই হাইপ থাকতেই হবে। আমরা কেবল সেই হাইপের স্রোতে গা ভাসাতে চাই। আমরা মুহুর্ত এবং ম্যাচটা উপভোগ করতে যাচ্ছি। আমরা এভাবেই মাঠে নামার চেষ্টা করছি। ম্যাচটি উপভোগ করার পাশাপাশি নিজেদের সেরাটা দিতে চাই।’
সুপার ফোরে উঠতে শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। যার ফলে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশও সুপার ফোরে জায়গা করে নেয়। অথচ সুপার ফোরে সেই শ্রীলঙ্কাকে হারায় টাইগাররা। এখন পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশেরই দুই পয়েন্ট আছে। শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের কাউকে হারাতে পারলেই অনেকটা ফাইনালে উঠে যাবেন লিটনরা।
এমন অবস্থায় ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে অনেকে বাংলাদেশকে ফেভারিট মানছেন। যদিও এখনই নিজেদের ফেভারিট মানতে চান না। তিনি বলেন, ‘এখনো কোনো ফেভারিট নেই। আমাদের এখনো দুটি ম্যাচ খেলতে হবে এবং দুটি দলই খুব শক্তিশালী দল। তাই আমাদের ক্রিকেট খেলতে হবে। আমি এখন কেবল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে ভাবছি। তারপর সেই ম্যাচ শেষ হলে পাকিস্তান নিয়ে ভাবব। তারপর সেটা শেষ হলে, ফাইনাল নিয়ে ভাবা যাবে। আপাতত আমরা কেবল ভারতের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।’