'পারফর্ম করে ক্রিকেট খেলি, চেহারা দেখিয়ে নয়'

ঘরোয়া
'পারফর্ম করে ক্রিকেট খেলি, চেহারা দেখিয়ে নয়'
Author photo
জুবাইর
· ১ মিনিট পড়া

দেশের লীগ পর্যায়ের ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিএল)। ক্লাব গুলোর মতোই ক্রিকেটাররা সারা বছরের ডিপিএলের অপেক্ষায় থাকে। 

ডিপিএলে খেলার সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে বিপিএল কিংবা জাতীয় দলে খেলার দুয়ারও খুলে দেয়। কিন্তু রুটি রুজির প্রধান উৎস ডিপিএলে ক্রিকেটারদের আর্থিক ইস্যু নিয়ে কথা বলার কেউ নেই।

যার কারনে প্রতি বছর প্লেয়ার ড্রাফটের নামে ঠকানো হচ্ছে ক্রিকেটারদের। এমন সিস্টেমের ভুক্তভোগী হচ্ছেন দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটাররাও। লম্বা সময় ইনজুরির কারনে খেলার বাইরে থাকা একসময়ের জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য সৈয়দ রাসেল গত ডিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন।

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৬টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। লীগের শেষ ম্যাচে চার উইকেট সহ ছয় ম্যাচ মিলিয়ে আট উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। লম্বা ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরে নিজের পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট ছিলেন একসময় মাশরাফির নতুন বলের পার্টনার রাসেল। 

এবারের ডিপিএলে ভালো গ্রেডে থাকবেন, কিছুটা হলেও আর্থিক সুবিধা পাবেন...এমন আশা ছিল তার। কিন্তু রাসেলকে এবারের প্রিমিয়ার লীগের ২২৭ ক্রিকেটারের তালিকা সর্বনিন্ম ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।

সি গ্রেডের ক্রিকেটার হিসেবে লিস্টে জায়গা মিলেছে সাবেক এই টেস্ট ক্রিকেটারের। যেখানে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক সাড়ে তিন লাখ টাকা। একই গ্রেডে রাখা হয়েছে আরেক টেস্ট ক্রিকেট রবিউল ইসলামকে। 

নির্বাচকদের এমন কান্ড পছন্দ হয়নি রাসেলের। ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেঁছে নিয়েছেন ছয় টেস্ট খেলা রাসেল। 'নির্বাচকদের বলছি, মনটা আরেকটু বড় করুন।

টেস্ট খেলা দুজন ক্রিকেটারকে এভাবে অপমান না করলেও পারতেন। আপনারই বলেন শ্রদ্ধা করতে, কিন্তু নিজেরাই শ্রদ্ধা করতে শিখলেন না। রেকর্ড ঘাটুন। পারফর্ম করে ক্রিকেট খেলি, চেহারা দেখিয়ে নয়।'

সৈয়দ রাসেল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা নতুন বলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলিং জুটি  গড়েছিলেন। মাশরাফির আক্রমণাত্মক বোলিং আর রাসেলের পরিপাটি লাইন লেন্থের বোলিংয়ের মিশেল ছিল এক কথায় দুর্দান্ত।

আরো পড়ুন: this topic