এমন জয়ের অনুভূতি শব্দে বর্ণনা করা যাবে না: আইয়ার

ছবি: চার উইকেট নিয়ে পাঞ্জাবকে ম্যাচ জেতান যুবেন্দ্র চাহাল, ফাইল ফটো

কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আইয়ারের কাছে জবাব দেয়ার ম্যাচ। আইপিএলের গত আসরে এই কলকাতাকেই শিরোপা জেতান আইয়ার। যদিও তাকে মেগা নিলামে ছেড়ে দেয় কলকাতা। সেখান থেকে ২৬.৭৫ কোটি রুপিতে তাকে দলে নেয় পাঞ্জাব।
লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে পাঞ্জাব
৫ মে ২৫
পুরোনো দলের বিপক্ষে এ দিন ছিল আইয়ারের মর্যাদা রক্ষার দিন। যদিও ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি। এ দিন রানের খাতাই খোলা হয়নি আইয়ারের। তবে নেতৃত্ব দিয়ে ঠিকই পাঞ্জাবের জয় আদায় করে নেন আইয়ার।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'এমন জয়ের অনুভূতি শব্দে বর্ণনা করা যাবে না। আমি স্রেফ নিজের সহজাত খেলার উপরে জোর দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম বল ঘুরছে। তাই যুজিকে (চাহাল) বলেছিলাম মাথা ঠান্ডা রেখে বল করতে। আমাদের আগ্রাসী হওয়া দরকার ছিল। ভাগ্য ভালো যে সঠিক জায়গায় সঠিক ফিল্ডাররা ছিল। এখন এ সব বিশ্লেষণ করা সত্যিই কঠিন। এই ম্যাচটা জেতা সত্যিই বিশেষ অনুভূতির।'

আহমেদাবাদে আইপিএলের ফাইনাল, মুল্লানপুরে ‘প্লে-অফ’
১৪ ঘন্টা আগে
কলকাতা শুরুতে সাত রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর আজিঙ্কা রাহানে এবং অঙ্গকৃশ রঘুবংশির ব্যাটে ম্যাচে ফিরে দলটি। দলীয় ৭২ রানের মধ্যে নিজের টানা দুই ওভারে তাদের ফেরান চাহাল। ১৭ রান করা রাহানেকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
চাহালকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা রঘুবংশি। এরপর প্রায় প্রতি ওভারেই উইকেট হারায় কলকাতা। শেষমেশ ১৫.১ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। চাহাল ২৮ রান খরচায় চারটি এবং মার্কো জানসেন ১৭ রান খরচায় নেন তিনটি উইকেট।
আইয়ার আরও বলেন, 'দু’ওভারে দুটো উইকেট আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। কিন্তু ওদের দু’জন ব্যাটার ম্যাচটা নিজেদের দিকে নিয়ে গেল। যুজি এসে বল ঘোরানো শুরু করতেই আমাদের আশা বেড়ে যায়। আমি চেয়েছিলাম আগ্রাসী ফিল্ডিং সাজাতে। একদম কলকাতার ব্যাটারদের মুখের সামনে, যাতে ওরা ভুল করতে বাধ্য হয়। ওখানেই ম্যাচটা আমাদের দিকে ঘুরে গেল।'
এমন উইকেটে রান করা সহজ ছিল না। আর তাই ১১১ রানকেও যথেষ্ট বলছেন আইয়ার, 'পিচের বাউন্স অসমান ছিল। তাই ১৬ রানে জিতে মনে হচ্ছে, ঠিক রানই তুলেছিলাম। বাউন্সের বৈচিত্রের ব্যাপারটা সবার মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। বোলারদের বলেছিলাম, বাউন্সের কথা মাথায় রেখে বল করতে। সেটাই করেছে ওরা।'