আইপিএলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে দ্য হান্ড্রেড, দাবি থম্পসনের

ছবি: দ্য হান্ড্রেড

যদিও এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন। তিনি স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন আইপিএলের জন্য উল্টো হুমকি হয়ে উঠছে দ্য হান্ড্রেড। তিনি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কোনো বড় পরিবর্তন আসছে না এই টুর্নামেন্টে।
টানা তৃতীয়বার দ্য হান্ড্রেডের শিরোপা জিতল ওভাল ইনভিনসিবলস
১ সেপ্টেম্বর ২৫
এ প্রসঙ্গে থম্পসন বলেন, 'আমার মনে হয়, এই প্রচার সত্বের চক্রের মধ্যে (যা ২০২৮ পর্যন্ত চলবে) কোনো কিছুই বদলাচ্ছে না। আমি বলতে চাই, আমাদের এমন কিছু মালিক আছেন যাদের বড় বাজেট রয়েছে। এই ব্যক্তিরা সত্যিই দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ যে তারা এটিকে একটি বিশ্বমানের টুর্নামেন্টে রূপান্তর করবেন, যা এটি এখন হতে চলেছে।'
নিজেদের সুদৃঢ় অবস্থান জানান দিতে থম্পসন আরো জানান, 'আমরা স্পষ্টভাবে আইপিএলের জন্য চ্যালেঞ্জিং ব্র্যান্ড। যারা বিনিয়োগ করতে বেছে নিয়েছে সবাই আইপিএলের মালিক নয়—তাদের সত্যিকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এখানে বিশেষ কিছু করার জন্য। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের কাছে এমন একজন অংশীদার আছে, স্কাই স্পোর্টস, যারা কার্যত আমাদের সঙ্গে এই টুর্নামেন্টটি তৈরি করেছেন।'

পাঞ্জাবে আমি অসম্মানিত হয়েছিলাম: গেইল
৮ সেপ্টেম্বর ২৫
কিছুদিন আগেই, ৩৩ বার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা ইয়র্কশায়ার ক্লাবটির ওপর ঝুলছিল বিশাল ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৩৩.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ। যদিও দ্য হান্ড্রেডের কল্যাণে ক্লাবটির ভাগ্য বদলে গেছে। ইসিবি দ্য হান্ড্রেডের আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ৪৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৫২০ মিলিয়ন পাউন্ড উঠে এসেছে।
এই অর্থ ভাগ করে দেয়া হয়েছে ১৮টি প্রথম-শ্রেণির কাউন্টি ও গ্রাসরুট ক্রিকেটে। হোস্ট কাউন্টি হিসেবে ইয়র্কশায়ার তাদের নিজস্ব ৫১ শতাংশ শেয়ারও বিক্রি করেছে নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের মালিকানায় থাকা সান গ্রুপের কাছে—যারা আইপিএলের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মালিক। এই বিক্রি থেকে তারা পেয়েছে প্রায় ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড, সাথে ইসিবির কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে পাওয়া ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড পেয়েছে তারা।
সব মিলিয়ে ঋণ শোধ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্লাবটি। শুধু ইয়র্কশায়ারই নয়। কাউন্টির প্রতিটি দলই দ্য হান্ড্রেডের কারণে লাভবান হয়েছে। ইসিবি দ্য হান্ড্রেডের স্বত্ব বিক্রি করেনি। শুধু দলগুলোর আংশিক মালিকানা বিক্রি করেছে। থম্পসন জানিয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটের উন্নতির জন্য তারা শুধু বিনিয়োগকারী এনেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা ইংলিশ সামার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিইনি, অর্থাৎ আমরা টুর্নামেন্টও (দি হান্ড্রেড) বিক্রি করিনি। আমরা কেবল টিমগুলোর মালিকানা বিক্রি করেছি। যদি আমরা গ্রীষ্ম বিক্রি করতাম, তা আমরা কখনও ফিরে পেতাম না, তাই আমরা এখনও সময়সূচি নিয়ন্ত্রণ করি। সুতরাং এটি ইংরেজি ক্রিকেটের 'ফ্যামিলি সিলভার' বিক্রি করা নয়। এটি ইংরেজ ক্রিকেটের জন্য বিনিয়োগকারীদের আনা, যাতে আমরা এমন একটি টুর্নামেন্ট করতে পারি যা আইপিএল এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম।'