এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৬৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ইংলিশরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬৫ রানে অল আউট হয়ে ফলো অনে পড়ে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে এই রানও করতে পারেনি। তারা অল আউট হয়েছে ২৫৫ রানে।
প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেয়া বশির দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রানে নেন ৬ উইকেট। ১৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটাই বশিরের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪১ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ইংলিশ এই স্পিনার।
এদিন ২ উইকেটে ৩০ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের রান বাড়াচ্ছিলেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস। তিনি ৪২ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। বেন কারানের সঙ্গে দারুণ এক জুটিও গড়ে ফেলেছিলেন তিনি। ৮২ বলে ৮৮ রান করা উইলিয়ামসকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন বশির।
এরপর বেন কারানকেও আউট করেন এই স্পিনার। কারানের ব্যাট থেকে আসে ১ চারে ৩৭ রান। এরপর বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা চালান সিকান্দার রাজা ও ওয়েলসলি মাধেভেরে। দুইজনেই দ্রুত রান তুলে গড়ে ফেলেন ৬৫ রানের জুটি। স্টোকস ফেরান মাধেভেরেকে। আর তাতেই ভাঙে জুটি। দারুণ ক্যাচ নিয়ে এই জুটি ভাঙতে অবদান রাখেন হ্যারি ব্রুক।
এরপর শেষের দিকের আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ৬৮ বলে ৬০ রান করে আউট হন সর্বোচ্চ রান করা রাজা। তানাকা চিভাঙ্গাকে আউট করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন বশির। আগের দিন ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়া রিচার্ড এনগারাভা ব্যাটিং করতে নামেননি। ফলে এখানেই সমাপ্ত হয় এই ঐতিহাসিক ম্যাচের।