এই পেসারের তোপেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে। তাঁর বোলিং গড় এখন ১৭.৩৩—যা ১৯১৫ সালের পর অন্তত ২০০০ বল করা বোলারদের মধ্যে সেরা। টেস্টে ১৪ ম্যাচে তাঁর উইকেটসংখ্যা ৫৯।
এর মাধ্যমে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন বার্ট আয়রনমঙ্গারকে, যিনি ১৯২৮ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত ১৪ টেস্টে ৭৪ উইকেট নিয়েছিলেন ১৭.৯৭ গড়ে। সিড বার্নেস ছাড়া (১৬.৪৩ গড়ে ১৮৯ উইকেট, ইংল্যান্ড) ১৯০০ সালের পর কোনো বোলারের বোলিং গড় বোল্যান্ডের চেয়ে ভালো নয়।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেটে ১৬ রান নিয়ে খেলতে নামলেও বাকি ৯ উইকেট মাত্র ১২৭ রানে হারায় তারা।অস্ট্রেলিয়ার পেস ত্রয়ী—বোল্যান্ড, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড—জ্বলে ওঠেন সমান তালে। বোল্যান্ড ৩টি, কামিন্স ও হ্যাজলউড ২টি করে উইকেট তুলে নেন।
তাতে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৮২ রানের লিড। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ধস নামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে। ২৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রানে দিন শেষ করেছে তারা। তিনে নামা ক্যামেরন গ্রিন একপ্রান্ত আগলে রেখে অপরাজিত রয়েছেন ৪২ রানে।
অন্যপ্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল থামেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন আলজারি জোসেফ, নিয়েছেন ৩ উইকেট তাও মাত্র ১৯ রানে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আগেই নিশ্চিত করলেও, শেষ টেস্টটি যেন এক রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রূপ নিচ্ছে।