জুয়ায় হেরে বিসিসিআই থেকে আইপিএলের ২৬১টি জার্সি চুরি

ছবি: জুয়ায় হেরে বিসিসিআই থেকে আইপিএলের ২৬১টি জার্সি চুরি, ফাইল ফটো

গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম ফারুক আসলাম খান। মুম্বাইয়ের মিরা রোড এলাকার বাসিন্দা ফারুক বিসিসিআইয়ের চার্চগেট কার্যালয়ের স্টোররুম থেকে মোট ২৬১টি জার্সি সরিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর সেগুলো বিক্রি করে দেন হরিয়ানার এক অনলাইন ব্যবসায়ীর কাছে।
লক্ষ্ণৌতে জহির খানের জায়গা নিচ্ছেন ভারতের সাবেক বোলিং কোচ
৩০ জুলাই ২৫
পুলিশ জানায়, জুয়া খেলায় নিয়মিত অর্থ হারাতেন ফারুক। সেই ক্ষতি পোষাতেই জার্সি বিক্রির পথে যান তিনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হওয়া এক বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি পুরো চালানটি কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠান।
চুরির ঘটনাটি ঘটে ১৩ জুন। তবে তা ধরা পড়ে বেশ কিছুদিন পর, স্টক অডিটে গুদামের হিসাব মিল না থাকায়। বিসিসিআই পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, ফারুক একটি বড় প্যাকেট হাতে স্টোররুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সুচি ঘোষণা
২৬ জুলাই ২৫
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক জানান, বিক্রির সময় তিনি দর-কষাকষি করেছিলেন, তবে ঠিক কত টাকায় পুরো চালানটি দিয়েছেন, তা নিশ্চিত করে বলেননি। তার দাবি, পাওয়া অর্থ অনলাইন জুয়ায় হারিয়ে ফেলেছেন।
হরিয়ানার যে ব্যবসায়ীর কাছে জার্সিগুলো বিক্রি হয়, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে পুলিশ। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, পণ্যের উৎস যে বৈধ নয়, তা তিনি জানতেন না। তার ভাষ্য, 'আমাকে বলা হয়েছিল এগুলো স্টক ক্লিয়ারেন্সের অংশ।'
চুরি হওয়া ২৬১টি জার্সির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০টির হদিস মিলেছে। ১৭ জুলাই বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে মেরিন ড্রাইভ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এখন তদন্ত চলছে ফারুকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার মাধ্যমে, যেন পুরো অর্থ লেনদেনের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।