ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। হার্দিক পান্ডিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পুশ করেই দৌড় দিতে চেয়েছিলেন ফখর। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। উইকেটকিপার স্যামসনও ক্যাচ লুফে নেন। তবে বল সরাসরি ভারতের উইকেটকিপারের গ্লাভসে জমা হয়েছে নাকি মাটি ছুঁয়ে গেছে সেটা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল। এজন্য আউট দেননি তিনি।
নিশ্চিত হওয়ার জন্য টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। বেশ কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন টিভি আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে। রিপ্লে দেখার পর ফখরকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। যদিও শ্রীলঙ্কান টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন স্যামসন ঠিকঠাকভাবে ক্যাচ নিয়েছেন সেটার কী প্রমাণ পেয়েছেন তিনি।
আম্পায়ার আউট দেয়ার পর থেকেই সেটা নিয়ে সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে। বেনিফিট অব ডাউট ফখরের পক্ষে যাওয়ার কথা থাকলেও সমালোচকদের দাবি, ভারতের ভয়েই তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আম্পায়াররা। পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আঘা অবশ্য ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ‘আম্পায়াররাও ভুল করতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, বলটা গ্লাভসে যাওয়ার আগে মাটিতে পড়েছিল। আমি ভুলও হতে পারি।’
ফখরের সেই আউট নিয়ে অধিনায়ক খুব বেশি কিছু না বললেও ম্যাচ শেষ হতেই ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের কাছে ছুটে যান নাভিদ চিমা। সেখানে জিম্বাবুইয়ান ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ জানান তিনি। তবে পাইক্রফ্টের পক্ষ থেকে পাকিস্তান দলের ম্যানেজারকে জানানো হয়েছে এটা নিয়ে তাঁর কিছু করার সুযোগ নেই। পরবর্তীতে আইসিসিতে অভিযোগ করেন চিমা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চেয়েছেন তারা।
যদিও পাকিস্তানের এমন অভিযোগের এখনো কোনো জবাব দেয়নি আইসিসি। চলতি এশিয়া কাপে পাকিস্তান, আইসিসি এবং ভারতের ইস্যু যেন থামছেই না। ভারতের ক্রিকেটারদের না মেলানো এবং দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে না করায় টুর্নামেন্ট বর্জনের হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান। যদিও পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ায় সমাধানে পৌঁছায় আইসিসি ও পিসিবি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করায় পিসিবির বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙের অভিযোগ করে আইসিসি। এবার সেটার সঙ্গে যুক্ত হলো ফখরের বিতর্কিত আউট।