চলতি বছরের এপ্রিলে কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। যেখানে নিহত হয়েছেন ২৬ জন। ভারত সরকারের দাবি, এমন কাজের সঙ্গে জড়িত পাকিস্তান। যদিও তাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান সরকার। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় একটা সময় যুদ্ধেও জড়ায় তারা। পরবর্তীতে যুদ্ধবিরতি দিলেও সেটার রেশ এখনো রয়ে গেছে মানুষের ভেতর। ওই ঘটনার পর এবার প্রথম মাঠের লড়াইয়ে নেমেছে ভারত ও পাকিস্তান।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের সঙ্গে লড়াই জমাতে পারেননি সালমান আলী আঘারা। খেলার মাঝে টসের সময় ও ম্যাচ শেষে ভারতের ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের সাইম আইয়ুবদের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় ব্যাপকহারে সমালোচনা হচ্ছে। এসবের মাঝে নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন সাহিবজাদা। ২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামে পাকিস্তান। যেখানে আগে ব্যাটিং করে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সাইম ও শাহিবজাদা।
প্রতিশোধের নেশায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন তারা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের হয়ে ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন শাহিবজাদা। এমন ইনিংস খেলায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি। যদিও ডানহাতি ওপেনারের সমালোচনায় ব্যস্ত ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। কারণ হাফ সেঞ্চুরির পর ড্রেসিং রুমের দিকে ব্যাট তাক করে ‘গান শট’ উদযাপন করেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগেও ঘুরেফিরে সেই উদযাপন নিয়ে কথা বলতে হয়েছে তাকে। সমালোচনার বিষয়টি সামনে আনলেও শাহিবজাদা জানান, তিনি এসবে পাত্তা দেন না। এ প্রসঙ্গে ডানহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘আমি জানি না মানুষ এটাকে কীভাবে নেবে। আমি এসব পাত্তা দেই না। এটা শুধু ওই মুহূর্তের বিষয় ছিল। আমি সাধারণত হাফ সেঞ্চুরি করার পর কোনো উদযাপন করি না। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো একটা উদযাপন করি। তাই করেছি।’
টি-টোয়েন্টিতে জসপ্রিত বুমরাহর বিপক্ষে বরাবরই ধুঁকতে হয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটারদের। এমনকি চলতি এশিয়া কাপের আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বুমরাহকে ছক্কা মারার রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের কারও। ভারেতের পেসারকে গ্রুপ পর্বে দুই ছক্কা মারেন। আর সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের মেরেছেন তিনটি। এক পঞ্জিবর্ষে ৮৮ ছক্কা মারা শাহিবজাদা জানান, ভবিষ্যতে আরও দেখা যাবে।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ছক্কার কথা বলেন, এটা ভবিষ্যতে আরও দেখতে পাবেন। আমি মনে করি, যেখানেই খেলি না কেন আমাকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে। এটা শুধু ভারতের বিপক্ষে নয়। প্রতিটি দলের বিপক্ষেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে, যেমনটা আমরা খেলেছি।’