‘বড় হৃদয়ের’ সিরাজ কখনোই প্রাপ্য স্বীকৃতি পান না, বলছেন শচিন

ছবি: মোহাম্মদ সিরাজ (বামে) ও শচিন টেন্ডুলকার (ডানে), ফাইল ফটো

সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ভারত জয়ের বিকল্প কিছুই ভাবছিল না। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের সেঞ্চুরিতে ম্যাচটি একসময় ইংল্যান্ডের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণার দুর্দান্ত স্পেল সেই পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। তাদের যুগলবন্দিতেই শেষ দিনে ইংল্যান্ড থেমে যায় ৩৬৭ রানে, জিতে যায় ভারত। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ২-২ ব্যবধানে।
বুমরাহর হয়ে ব্যাট ধরলেন হার্শা
৭ আগস্ট ২৫
এই সিরিজে দুই দলের একমাত্র বোলার হিসেবে সবগুলো ম্যাচ খেলেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। পুরো সিরিজে তিনি বল করেছেন ১,১১৩টি, যা তার পরবর্তী বোলারের তুলনায় ৩৬১টি বেশি। ২৩ উইকেট নিয়ে সিরাজ ছিলেন সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। জসপ্রিত বুমরাহ দুটি টেস্ট না খেলায় পেস আক্রমণের নেতৃত্বও তাকেই সামলাতে হয়।
সিরাজের এই পারফরম্যান্স নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন শচিন টেন্ডুলকার। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার বলেন, ‘অবিশ্বাস্য। অসাধারণ নিবেদন। আমি ওর মানসিকতা খুব পছন্দ করি। ওর পায়ে যেন ঝরঝরে স্প্রিং লাগানো আছে। একজন বোলার যদি একটানা সামনে এসে চাপ সৃষ্টি করে, কোনো ব্যাটারই সেটা পছন্দ করবে না।’

রেকর্ড নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই: রুট
২৭ জুলাই ২৫
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুনেছিলাম, ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন যে, সিরাজ এক হাজারের বেশি বল করার পরও শেষদিনে ঘন্টায় ৯০ মাইল (প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার) গতিতে বল করেছে। এটা ওর সাহস ও বড় হৃদয়ের পরিচয় দেয়।’
শেষদিন গাস অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে সিরিজে নিজের প্রভাব স্পষ্ট করে দেন সিরাজ। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানে চার উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ১০৪ রানে পাঁচ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কারও গেছে তার ঝুলিতে।
সিরাজের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শচিন বলেন, ‘শেষ দিনে ও যেভাবে বোলিং শুরু করেছিল, সেটা ছিল অসাধারণ। ও সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের জন্য পারফর্ম করে। যখনই আমাদের নকআউট পাঞ্চ দরকার হয়, সিরাজ সেটা দিতে পারে। অতীতেও সেটা ধারাবাহিকভাবে করেছে, এবারের সিরিজেও করেছে। ও যেভাবে এতগুলো উইকেট নিয়েছে এবং পারফর্ম করেছে, তাতে আমার মনে হয় ওর যতটা প্রাপ্য, ততটা স্বীকৃতি ও পায় না।’