ফারুকের বিদায়ের পর মুখ খুললেন হাথুরুসিংহে

ছবি: ফারুক আহমেদ ও চান্ডিকা হাথুরুসিংহে

যদিও সেই সম্পর্ক তিক্ততায় রূপান্তর হতেও বেশিদিন লাগেনি। তাই ৯ মাসের মধ্যেই ফারুককে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নেয়ার পরই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে। ২০২৩ বিশ্বকাপে এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে।
হারিসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিল পাকিস্তান
১ ঘন্টা আগে
এই লঙ্কান কোচকে চাকুরিচ্যুত করতে ২০২৩ বিশ্বকাপের তদন্ত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছিলেন ফারুক আহমেদ। লঙ্কান এই কোচকে সরাতে আদৌ বোর্ডের বাকি পরিচালকদের মতামত নেয়া হয়েছিল কিনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেয়ার পর মুখ খুলেছেন হাথুরুসিংহে।

তিনি নিজের লিংকডইন প্রোফাইলে লিখেছেন, 'আমি সাধারণত আমার কাজকেই আমার পক্ষে কথা বলতে দেই। তবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আবারও আলোচনায় চলে এসেছি। এই ইএসপিএন ক্রিকইনফো'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির অপসারণের একটি কারণ ছিল আমাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি। বোর্ডের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান — মাঠে এবং মাঠের বাইরে — সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।'
তার এমন মন্তব্যে স্পষ্ট ফারুকের অপসারণে তিনি বেশ খুশিই হয়েছেন। ফারুক সভাপতি হওয়ার আগেই এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় হাথুরুসিংহেকে সরিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে সেই পরিকল্পনাই তিনি বাস্তবায়ন করেছিলেন।
অবশ্য হাথুরুসিংহে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে অনেকবার বলেছেন তিনি কোনো ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেননি। এমনকি বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে থাকা নিক পোথাসও এই ব্যাপারটি অস্বীকার করেন। এর আগে হাথুরুসিংহের প্রথম মেয়াদের সময় বাংলাদেশ দলের নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন ফারুক। সেই সময় হাথুরুসিংহের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্যে।