হারিসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিল পাকিস্তান

ছবি: সেঞ্চুরির পথে মোহাম্মদ হারিস

বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচে পাকিস্তানের বড় জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ হারিস। তিনি অপরাজিত সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে জিতিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৬ বলে ১০৭ রান করে। আর ১২ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন আঘা সালমান।
রাজশাহীর হয়ে বিপিএলে খেলতে আসছেন হারিস
২২ ডিসেম্বর ২৪
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য ১৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই শাহীবজাদা ফারহানকে (১) হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন সাইম আইয়ুব ও হারিস।
এই জুটির পথে মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হারিস। হাফ সেঞ্চুরি পেতে পারতেন সাইমও। তবে তানজিম সাকিবকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাইম ফিরেছেন তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ফলে এই দুজনের ৯২ রানের জুটি ভাঙে ঠিক দলীয় ১০০ রানে।
এরপর হাসান নাওয়াজ এসে হারিসকে দারুণ সঙ্গ দেন। ১৮ বলেই এই জুটি তুলে নেয় ৩৭ রান। তবে হাসান বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তিনি ১৩ বলে ২৬ রান করে ফেরেন। এরপর পাকিস্তানকে আর কোনো বেগ পেতে দেননি হারিস ও আঘা সালমান। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৬০ রান যোগ করে পাকিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।

যদিও এই জুটিতে মাত্র ১৫ রান অবদান সালমানের। এরপর প্রায় সব রানই এসেছে হারিসের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে একাই দুটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব।
ভারতের ৪ ভেন্যুতে নারী বিশ্বকাপ, কলম্বোতে খেলবে পাকিস্তান
১৬ ঘন্টা আগে
এর আগে টসে হেরে ব্যাট হাতে বেশ ভালোই শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ। শুরু থেকে একটু বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ইমন। সাইম আইয়ুবের করা তৃতীয় ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে তুলে নেন ১৯ রান। এরপর হাসান আলীর করা চতুর্থ ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে জীবন পান তানজিদ। লং অফে তার ক্যাচ ফেলেছেন ফাহিম আশরাফ।
উল্টো বাউন্ডারি হজম করেন সেই বলে। এর পরের বলে মিড অফ দিয়ে তানজিদ মারেন আরেকটি চার। ইমন-তানজিদের ব্যাটে বাংলাদেশ ৫.৩ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ তুলে নেয়। পাওয়ার প্লের পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন ইমন। তিনি মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। অষ্টম ওভারে আবরার আহমেদের ওপর চড়াও হন ইমন। তৃতীয় বলেই মিড উইকেট দিয়ে মারেন ছক্কা। এক বল পর শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার। পরের বলে সুইপ করে ডিপ স্কয়ার দিয়ে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ইমন।
ইমন ২৭ বলে পান হাফ সেঞ্চুরির দেখাও। তাকে দরুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন তানজিদ। ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বলে ফাহিম আশরাফকে ছক্কা মেরে দলের রান একশ পূরণ করেন ইমন। খানিক বাদেই তানজিদের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফাহিমের শর্ট লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারিতে অফ স্টাম্পের বাইরে গিয়ে ফাইন লেগের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তানজিদ। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় শর্ট ফাইন লেগে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি এই ওপেনার।
পরপর দুই ওভারে ফিরেছেন ইমন ও তানজিদ। ইমনের ব্যাট থেকে এসেছে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। তানজিদ ও ইমন আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের রান বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। তাদের দুজনের ব্যাটেই ১৫ ওভারে দেড়শ ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তবে এই জুটি বড় হয়নি। এই দুজনের ৪৯ রানের জুটি ভেঙেছেন হাসান আলী। ১৮ বলে ২২ রান করা লিটনকে তিনি বোল্ড করে আউট করেছেন। ফলে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
এরপর শামীম পাটোয়ারি এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন। আব্বাস আফ্রিদির বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ৪ বলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি। এর এক বল পরেই হৃদয় ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন সাইমের হাতে। ফলে ১৭২ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস।
১৯তম ওভারে বল করতে আসেন ফাহিম আশরাফ। প্রথম বলেই জাকের আলীর ক্যাচ ফেলেন বোলার নিজেই। শেষ ওভারের প্রথম বলে হাসান আলী আউট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। পয়েন্টে তিনি ক্যাচ দিয়েছেন হাসান নাওয়াজকে। এরপর জাকের ও তানজিম সাকিব মিলে বাংলাদেশের সংগ্রহ নিয়ে যান ১৯৬ রানে।