পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বাংলাদেশের ইতিহাস

ক্রিকফ্রেঞ্জি
শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের আগুনে বোলিংয়ে ১৫ রানে পাকিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। সফরকারীদের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশের জয়টা অবধারিতই ছিল। তবে ক্যাচ মিস ও বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান আব্বাস আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফরা। জীবন পেয়ে সফরকারীদের একাই টেনে নিয়েছেন ফাহিম। ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে ২৮ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের।

promotional_ad

এমন সমীকরণের সময় ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে প্রথম তিন বলেই দুই চার হজম করেন রিশাদ হোসেন। পঞ্চম বলে ছক্কা হজম করলেও শেষ বলে হাফ সেঞ্চুরিয়ান ফাহিমের উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই লেগ স্পিনার। গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেয়া রিশাদ সেই ওভারে দিয়েছেন ১৫ রান। ম্যাচ জিততে শেষ উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের করা শেষ ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তান। প্রথম বলে চার মারলেও পরের বলে আউট হয়েছেন আহমেদ দানিয়াল। ফলে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।


আরো পড়ুন

নাকভির সঙ্গে সিরিজ বাড়ানো নিয়ে কথা বলবেন বুলবুল

৪ ঘন্টা আগে
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের একাংশ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

একাধিক ম্যাচের সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেন লিটন দাসরা। নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো টানা দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল তারা। ২০২২-২৩ মৌসুমে বাংলাদেশ টানা চার সিরিজ জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।


মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় সফরকারীরা। শেখ মেহেদী অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জোরের উপর কাট করে পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে রান নিতে চেয়েছিলেন। তবে প্রথম চেষ্টায় পারভেজ হোসেন ইমন বল থামিয়ে দেন। দ্রুততার সঙ্গে রিশাদ থ্রো করলে সাইমের রান আউট নিশ্চিত করেন লিটন। ৪ বলে ১ রান করে ফিরতে হয় বাঁহাতি এই ওপেনারকে।


দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন শরিফুল। বাঁহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টা করলেও বল আঘাত হানে প্যাডে। আবেদন করতেই আঙুল ‍তুলে আউট দেন আম্পায়ার। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন হারিস। তবে আম্পয়ার্স কলের কারণে শেষ রক্ষা হয়নি গোল্ডেন ডাক মারা ডানহাতি ব্যাটারের। নিজের পরের ওভারে এসে ফখর জামানের উইকেটও নিয়েছেন শরিফুল। বাঁহাতি পেসারের লেগ সাইডের শর্ট ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি।


promotional_ad



আরো পড়ুন

ম্যাচ জেতানো ইনিংস ছাড়া আমি কাউন্ট করি না: জাকের

৫ ঘন্টা আগে
৪৮ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা জাকের আলী অনিক, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বল গ্লাভস ছুঁয়ে লিটনের কাছে যেতেই আবেদন করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট না দেয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ নেন লিটন। আম্পায়ার আউট না দিলেও বল গ্লাভসে লাগায় নিজে থেকেই বেরিয়ে যান ফখর। পরবর্তীতে টিভি রিপ্লেতে নিশ্চিত করা বল ফখরের গ্লাভস ছুঁয়ে লিটনের কাছে গেছে। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা বাঁহাতি ওপেনার ৮ রানে ফিরেছেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে পাকিস্তানের চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন তানজিম।


ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দিয়েছেন হাসান নাওয়াজ। পরের বলে মোহাম্মদ নাওয়াজকেও ফিরিয়েছেন তানজিম। তরুণ পেসারের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে এজ হয়ে তিনিও লিটনকেই ক্যাচ দিয়েছেন । মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে পাকিস্তান। ধাক্কা সামলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন সালমান আলী ও খুশদিল। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি মেহেদী।


ডানহাতি অফ স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ রান করা পাকিস্তানের অধিনায়ক। দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগে ফিরেছেন খুশদিলও। মেহেদী বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন তিনি। ১৮ বলে ১৩ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। পরবর্তীতে অবশ্য দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ফাহিম ও আব্বাস। তারা দুজনে মিলে তানজিম ও রিশাদের ওভারে এনেছেন ৩১ রান। তারা দুজনে মিলে পাকিস্তানকে জয়ের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন।


ইনিংসের ১৭তম ওভারে এসে আব্বাস আফ্রিদিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শরিফুল। একই ওভারে ফিরতে পারতেন ফাহিমও। তবে লং অনে বাঁহাতি ব্যাটারের ক্যাচ নিতে পারেননি তানজিম। জীবন পেয়েই পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন তিনি। রিশাদকে ছক্কা মেরে ৩১ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। তবে পরের বলেই ৫১ রান করা ফাহিমকে ফেরান রিশাদ। শেষ ওভারে দানিয়ালকে আউট করে বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল তিনটি এবং মেহেদী ও তানজিম দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।


সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ


বাংলাদেশ— ১৩৩/১০ (২০ ওভার) (নাইম ৩, ইমন ১৩, লিটন ৮, জাকের ৫৫, মেহেদী ৩৩)


পাকিস্তান— ১২৫/১০ (১৯.২ ওভার) (ফখর ৮, সালমান ৯, খুশদিল ১৩, ফাহিম ৫১; শরিফুল ৩/১৭, তানজিম ২/২৩)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball