বাংলাদেশের বাইরে এমন উইকেট দেখেননি সালমান

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, ‘মিরপুরে উইকেট কেমন হবে, তা আপনি এখানে দুই সেশন না খেলা পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না।’ বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধান কোচের মন্তব্যটা ছিল টেস্টে মিরপুরের উইকেটের আচরণ নিয়ে। তবে যারা নিয়মিতই শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা দেখে থাকেন তারা নিশ্চিতভাবেই জানেন ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতেও মিরপুরের উইকেটের আচরণ অনুমান করা কঠিন।
ম্যাচ হেরে মিরপুরের উইকেটের সমালোচনা করলেন সালমান
২০ জুলাই ২৫
বিপিএল হোক কিংবা আন্তর্জাতিক সিরিজ—সবসময়ই আলোচনায় থাকে মিরপুরের উইকেট। বোলাররা উইকেটের আনন্দে যেখানে উৎসব করেন ব্যাটারদের জন্য সেটাই মৃত্যুকূপ। বেশিরভাগ সময়ই অস্বাভাবিক ডেলিভারির সামনে পড়তে হয় ব্যাটারদের। অসম বাউন্সের সঙ্গে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি টার্নের কারণে প্রায়শই ব্যাটারদের ভুগতে দেখা যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেও একই চিত্র ছিল।
১৫ রানে ৫ উইকেট, পঞ্চাশের আগে ৭ উইকেট কিংবা ২৫ রানে ৫ উইকেট—চলমান সিরিজে সবই দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ কিংবা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্য এটা আদর্শ উইকেট কিনা। প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে পারভেজ হোসেন ইমন হেসনের সমালোচনা কানে না নিলেও শেষ দিনে এসে সালমানও প্রধান কোচের সুরেই কথা বলেছেন। তিনিও মনে করেন, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য মিরপুরের উইকেট আদর্শ নয়।

লিটন আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘তুই আমার দলের মেইন প্লেয়ার’: সাইফউদ্দিন
৯ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে সালমান বলেন, ‘উইকেট নিয়ে আমি কিছু বলিনি। আমি শুধু বলেছি আমাদের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এটা আদর্শ উইকেট নয়। উইকেট নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও দল হিসেবে আমরা যেখানেই যাই না কেন কিংবা উইকেট পাই না কেন সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে।’
‘প্রথম দুই ম্যাচে আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তারা যদি আমার কাছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা জানতে চায় তাহলে আমি বলব আমরা যে ধরনের প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছি সেটার জন্য আদর্শ উইকেট নয়। আমার মনে হয় না এরকম পিচ আমরা সামনেও কোথাও পাব।’
পাকিস্তানে বেশিরভাগ সময়ই ব্যাটিং নির্ভর উইকেটে খেলে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সিরিজ কিংবা পিএসএল—প্রায় সবখানেই একই ধরনের উইকেট থাকে। বাংলাদেশের বাইরে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। স্বাভাবিকভাবেই তিন দেশেই বাংলাদেশের মতো এমন কম রানের কঠিন উইকেট দেখেননি তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে পারফর্ম করার চ্যালেঞ্জ থাকলেও তিনি মনে করেন, এমন উইকেট আসলেই দেখেননি।
সালমান বলেন, ‘আমার মনে হয় না এরকম কোন কন্ডিশনে ভবিষ্যতে কোথাও পাবেন। আমি অনেক জায়গাতে খেলেছি তবে বাংলাদেশের কন্ডিশনের মতো উইকেট দেখিনি। প্রস্তুতির জন্য আমার মনে হয় না এটা খুব বেশি কাজে দেবে। তবে আমাদেরকে সব কন্ডিশনে গিয়ে পারফর্ম করতে হবে। আমাদের যেমন পারফর্ম করা উচিত ছিল এই সিরিজে আমরা সেটা করতে পারিনি।’