পাকিস্তানকে জেতার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ, মনে হচ্ছে কামরানের

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে একাদশে পাঁচ পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। বেঞ্চের শক্তি বাজি দেখতে পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান এবং রিশাদ হোসেনকে বিশ্রাম দেয় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্রামে থাকা তানজিদ হাসান তামিম ও তাসকিন আহমেদ একাদশে ফেরেন প্রত্যাশিতভাবেই।
লিটন আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘তুই আমার দলের মেইন প্লেয়ার’: সাইফউদ্দিন
১৬ ঘন্টা আগে
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার সুযোগ মেলে মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। একগাদা পরিবর্তন এনে শেষ ম্যাচে পারফর্ম করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে দেড়শ রানও যেখানে হয়নি সেই মাঠেই আগে ব্যাটিং করে ১৭৮ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। শাহিবজাদা ফারহান, হাসান নাওয়াজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটিং দেখে ধারণা করা হচ্ছিল হয়ত উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো।
যদিও বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে সেটা আদৌতে মনে হয়নি কারও। ২৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সাইফউদ্দিনের ব্যাটে একশ পার করে স্বাগতিকরা। ৭৪ রানের জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে দেশে ফিরছে পাকিস্তান। কামরান অবশ্য মনে করেন, শেষ ম্যাচটা পাকিস্তানকে জেতার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া লিটন দাসদের এত পরিবর্তন দেখে নিজেদের ‘ছোট’ মনে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটারের।

পাকিস্তান দলে ফিরলেন আফ্রিদি, টি-টোয়েন্টিতে ব্রাত্য বাবর
১৬ ঘন্টা আগে
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ প্রসঙ্গে কামরান বলেন, ‘তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পাকিস্তান জিততে পেরেছে। যদিও আমার মনে হয় বাংলাদেশ জেতার সুযোগ দিয়েছে। আগের দুই ম্যাচে যেভাবে ১১০ রানে অলআউট করেছে, ১৩৩ করে পাকিস্তানকে ১২৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে। মনে হচ্ছিল পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হবে। তবে ওরা মনে করেছে আমাদের যা উদ্দেশ্য ছিল অর্জন করেছি। এখন যারা বাইরে আছে তাদের সুযোগ দিই।’
‘প্রথম দুই ম্যাচেও বাংলাদেশ রোটেশন পলিসিতে খেলেছে। সেটিও পাকিস্তানের সঙ্গে, যারা একসময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, আয়ারল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে নয়। দেখুন—পাকিস্তান দলকে এখন কিভাবে এবং কোন পর্যায়ে গিয়ে ট্রিট করে। লজ্জার কথা শুধু এটুকুই বলব, আর কিছু বলব না।’
প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তানের ওপেনার হিসেবে খেলেছিলেন ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব। তবে শেষ ম্যাচে ফখরের জায়গায় শাহিবজাদাকে খেলায় তারা। যার ফলও হাতেনাতে পেয়েছে সফরকারীরা। উদ্বোধনী জুটিতে ৮২ রান তোলার পাশাপাশি শাহিবজাদা নিজে খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। কামরান মনে করেন, দুই ম্যাচে দুজন বাঁ হাতি ওপেনারকে খেলিয়ে বাংলাদেশের স্পিনারদের সুযোগ করে দিয়েছে পাকিস্তান।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচেই লেফট এবং রাইট হ্যান্ডেড কম্বিনেশন বানানো উচিত ছিল। আপনি ফখর ও সাইমকে একসঙ্গে খেলিয়ে তাদেরকে ও তাদের স্পিনারদের সুযোগ দিয়েছেন। আপনি যদি শাহিবজাদা ফারহানকে খেলাতেন তাহলে হয়ত বাংলাদেশের স্পিনাররা পাকিস্তানের ব্যাটারদের এত বিপদে ফেলতে পারতো না। তখন কম্বিনেশনও ভালো হতো।’