মাঠ কর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় গম্ভীর, ব্যাখ্যা দিল টিম ম্যানেজমেন্ট

ছবি: ফোর্টিস লি ও গৌতম গম্ভীর

ওভাল টেস্ট শুরু হতে বাকি মাত্র দুই দিন। তার আগে এমন ঘটনা আলোড়ন ফেলেছে। মঙ্গলবার ভারতীয় দল প্রথমবার অনুশীলন করেছে ওভালে। মাঠে পৌঁছেই মাঠকর্মীদের ব্যবস্থাপনায় অসন্তুষ্ট হন ভারতের প্রধান কোচ। প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা বিনিময়ের মধ্যেই ভারতীয় এই কোচ তর্কে জড়ান ফোর্টিসের সঙ্গে।
সিরিজ বাঁচাতে ওভাল টেস্টেও বুমরাহকে খেলাতে পারে ভারত
২৮ জুলাই ২৫
এমন সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন ভারতের অন্য কোচরা, বিশেষ করে সীতাংশু কোটাক। গম্ভীরকে সরিয়ে নিয়ে যান তারা। সেই মাঠ কর্মীর সঙ্গে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে দেখা যায় গম্ভীরকে। পরে ভারতীয় দলের সহকারী কোচ কোটক পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দেন দলের পক্ষ থেকে।

তিনি বলেন, 'কয়েকজন কোচ মিলে যখন উইকেট দেখতে গিয়েছিল, তখন গ্রাউন্ড স্টাফের একজন বলল অন্তত আড়াই মিটার দূরে দাঁড়াতে, যা আমাদের কাছে একটু অদ্ভুত লেগেছিল। কারণ ম্যাচ পরশুদিন শুরু, এটা পাঁচ দিনের টেস্ট, আর আমরা জগার্স পরা অবস্থায় ছিলাম, তাই একটু অস্বস্তি হচ্ছিল।'
পাকিস্তানের জার্সি পরে আসায় ভারতের ম্যাচে দর্শককে হেনস্থা
২১ ঘন্টা আগে
তিনি আরও যোগ করেন, 'কেউ যদি উইকেটে কিছু বসানোর চেষ্টা করে বা স্পাইক পরে দাঁড়ায়, তাহলে কিউরেটরদের ভাবনা ঠিক আছে। কিন্তু এখানে বলার ভঙ্গিটাই ছিল অদ্ভুত—‘এখান থেকে আড়াই মিটার দূরে দাঁড়ান’। এখান থেকেই ব্যাপারটা শুরু হয়। কারণ গৌতম এমন কেউ না যে অপ্রয়োজনে কথা বলে। গত চারটা ম্যাচে যেখানে গেছি, কিউরেটররা নিজেরাই বলে দিয়েছেন কখন ঘাস কাটবে, এমনকি যদি উত্তর দিতে না চায়, বলে দেবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। সেটাই ভালো উত্তর।'
এরই মধ্যে মাঠকর্মীর সঙ্গে ভারতীয় কোচের বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে গম্ভীরকে হুমকি দিতে দেখা যায় মাঠ কর্মীকে। তিনি বলেন, 'তুমি যা ইচ্ছা রিপোর্ট করো। যাও, এখানে থেকে বেরিয়ে যাও। ম্যাচ রেফারিকে যা বলার বলো, আমাদের বলে দিও না কী করতে হবে। তুমি আমাদের কাউকে নির্দেশ দিতে পারো না। তুমি শুধুই একজন গ্রাউন্ডসম্যান, তোমার সীমার মধ্যে থাকো।'
গম্ভীরের এই প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত না করলেও কোটাক জানিয়েছেন, গম্ভীর শুধু তার স্টাফদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। অন্যান্য সফরকারী দলও সারের গ্রাউন্ডে একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। লি ফোর্টিস ২০১২ সাল থেকে ওভালে দায়িত্বে আছেন এবং চারবার ইসিবির বার্নার্ড ফ্ল্যাক মেমোরিয়াল ট্রফি জিতেছেন, যার মধ্যে একটি হ্যাটট্রিকও রয়েছে।