ইংল্যান্ডের হাত থেকে মূলত ম্যাচ কেড়ে নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণা। এই দুই পেসার প্রথম ইনিংসেও ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এই দুজনের নৈপুণ্যেই শেষদিনে এক সেশনের মধ্যেই স্বাগতিকদের গুটিয়ে দিতে পেরেছে ভারত।
ভারতের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিততে ড্র অথবা জয় পেতে হবে ইংল্যান্ডকে। আর হারলেই সিরিজ ড্র হয়ে যাবে। এমন সমীকরণে স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ভারত। তৃতীয় দিনই সেই কাজটা খানিকটা সহজ করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। তবে শেষ বিকেলে জ্যাক ক্রলির বিদায় ইংল্যান্ডকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল।
যদিও চতুর্থ দিন বেন ডাকেটের হাফ সেঞ্চুরি, জো রুট ও হ্যারি ব্রুকের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে ইংলিশরা। জয় থেকে তারা মাত্র ৩৫ রান দূরে থেকে দিন শেষ করে তারা। বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের শেষভাগে প্রায় এক সেশন খেলা বন্ধ ছিল।
সহজ সমীকরণে খেলতে নেমে কৃষ্ণার প্রথম দুই বলেই টানা দুটি চার মারেন জেমি ওভারটন। প্রথম বলেই পুল করে ডিপ স্কয়ার দিয়ে চার মারেন ওভারটন। পরের বলটি ব্যাটের কানায় লেগে ফাইন লেগ দিয়ে হয়ে যায় চার। পরের ওভারে সিরাজ এসেই ফিরিয়েছেন জেমি স্মিথকে।
এই ইংলিশ ব্যাটার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট সাইড এজ হয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ধ্রুব জুরেলের হাতে। সিরাজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে আউট করেছেন ওভারটনকেও। ইংলিশ এই ব্যাটার সিরাজের বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি তিনি। আম্পায়ার্স কলের কারণে ফিরে যেতে হয় তাকে।
এরপর কৃষ্ণার বলে ফিরে যেতে পারতেন জশ টাংও। এই ভারতীয় পেসারের বল সোজা আঘাত করেছিল টাংয়ের প্যাডে। আম্পায়ারও আউট দিয়ে দেন। তবে ইংল্যান্ড রিভিউ নেয়। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্প মিস করে গেছে। ফলে বেচে যান টাং। আর ইংল্যান্ডেরও জয়ের আশা টিকে থাকে।
টাংকে বোল্ড করে আউট করেন কৃষ্ণা। এরপর ভাঙা হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েই ব্যাটিং করতে নামেন ক্রিস ওকস। তবে সিরাজ গাস অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের ইনিংস ৩৬৭ রানে গুটিয়ে দেন। ফলে ভারত ৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এর ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ড্র করেছে ভারত। ১০৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের নায়ক সিরাজ। পাশাপাশি ৪ উইকেট নিয়েছেন কৃষ্ণা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ভারতকে মাত্র ২২৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রান তোলে ইংল্যান্ড। ফলে ২৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত তোলে ৩৯৬ রান। আর তাতেই বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ভারত। সেই রান আর পেরোতে পারেনি ইংলিশরা। সিরিজের আগের চার টেস্টের মধ্যে দুটিতে ইংল্যান্ড জয় পেয়েছিল। একটি জিতেছিল ভারত আর বাকি একটি ম্যাচ হয় ড্র।