তাইজুলের ঘূর্ণি সামলাতে ব্যর্থ টেলর

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ৩২১/৬ (৫০ ওভার) (লিটন ১২৬, মিঠুন ৫০; পফু ২/৬৮, মুম্বা ১/৪৫)
জিম্বাবুয়েঃ ৪৫/৪ (১৪ ওভার) (মাদিভেরে ১৩*, রাজা ১*; সাইফউদ্দিন ২/৬, মাশরাফি ১/২৮)
তাইজুলের আঘাতে বিপদে জিম্বাবুয়েঃ মাশরাফির পর এবার জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হেনেছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাঁর বোলিং ঘূর্ণিতে দলীয় ৪৪ রানের মাথায় অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন টেলরকে বিদায় নিতে হয়। মাত্র ৮ রান করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন টেলর।

মাশরাফির প্রথম উইকেটঃ গত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে মাত্র একটি উইকেট শিকার করা মাশরাফি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবারো ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন।
নয় নম্বর ওভারে বোলিংয়ে এসে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চামু চিভাবাকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তিনি। ফলে প্রায় ৯ মাস পর ওয়ানডেতে উইকেট পেলেন মাশরাফি। দলীয় ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে সফরকারীরা।
আবারো সাইফউদ্দিনঃ দলীয় ২৩ রানের মাথায় রেগিস চাকাভাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাত্র ১১ রান করে আউট হন চাকাভা।
সাইফউদ্দিনের প্রথম আঘাতঃ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই জিম্বাবুয়ে ওপেনারকে আউট করেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ে ওপেনার তিনাসে কামুনহুকামুউইকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি। ফলে মাত্র এক রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় এই ওপেনারকে।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর ব্যাটিং করতে নেমে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩২১ রানের পুঁজি পায় তারা।
হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে মাঠ ছাড়ার আগে ১০৫ বলে ১২৬ রান করেন ওপেনার লিটন। যেখানে দুটি ছক্কা এবং ১৩টি চার মারেন তিনি। লিটনের পাশাপাশি দারুণ ব্যাটিং করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিঠুন। অপরদিকে শেষের দিকে ব্যাটিং করতে নেমে ১৫ বলে ৩ ছক্কার সাহায্যে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন।