স্টার্ক-কামিন্সদের জন্য করোনাবিধির কঠোরতা এক ডিগ্রি ওপরে

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনার প্রাদুর্ভাবের মাঝেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। আগামী মাসে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে অজিরা। ইতোমধ্যে সিরিজে অংশ নিতে ইংলিশদের দেশে পৌঁছে গেছেন স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা।
সিরিজ শুরুর আগে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) নিজেদের স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের দুই দলে ভাগ করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল অজিদের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে বিলম্ব হলে, সে সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা আলাপকালে স্টার্ক জানান, অস্ট্রেলিয়ার জন্য করোনাবিধির কঠোরতা এক ডিগ্রি ওপরে।

করোনার প্রকোপের মাঝে ক্রিকেট মাঠে ফেরার আগে সতর্কতাস্বরুপ পাঁচটি নতুন নিয়মের প্রবর্তন করেছিল আইসিসি। যার মধ্যে অন্যতম হলো, করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগে কোনো খেলোয়াড় ক্রিকেট বলে মুখের লালা ব্যবহার করতে পারবেন না। যদিও বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করা যাবে ঘাম।
স্টার্ক জানালেন, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের জন্য লালা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রয়েছে বাড়তি কঠোরতা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখ, ঘাড় ও মাথার আশপাশের ঘাম বলে ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচেও মানতে হবে এই নিয়ম।
স্টার্ক বলেন, 'এতদিন ইংল্যান্ডে হওয়া সিরিজগুলোতে যেমনটা দেখেছেন, তার চেয়ে বিধিনিষেধের মাত্রা বাড়বে খানিক। ঘাড়, মুখ ও মাথার আশপাশের ঘাম ব্যবহার করা যাবে না এখন এবং লালার ব্যবহার তো নিষিদ্ধই।'
'বোলাররা এখন পিঠের ঘাম ব্যবহার শুরু করবে কি না তাই দেখার বিষয়। কেননা হাতের ঘামও ব্যবহার করা যাবে না। তবে সাদা বলে এর তেমন প্রভাব নেই। কেননা খেলা শুরুর পর সাদা বলটি শুকনো রাখার চেষ্টাই করা হয়'। আরও যোগ করেন তিনি।
৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এর ৭দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হবে অনাদে সিরিজ। তার আগে শুক্রবার অ্যারন ফিঞ্চ ও প্যাট কামিনসের নেতৃত্বে নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। স্কোয়াডে ২১ জন খেলোয়াড় থাকায় স্থানীয় ক্লাব থেকে নেয়া হবে একজন ক্রিকেটারকে।