অভিষেকে হায়দারের রেকর্ড, সিরিজ বাঁচালো পাকিস্তান

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি বাধা, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৯৫ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েও বোলারদের ব্যর্থতায় ৫ উইকেটের হার। সব মিলিয়ে সিরিজটা খুব একটা ভালো যাচ্ছিলো না পাকিস্তানের। কিন্তু কথায় আসছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আর এই শেষটাই ভালো করে দেখালেন বাবর আজম এন্ড কোং। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিনিয়ে এনেছে ৫ উইকেটের জয়।
সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৫ রানের এক রুদ্ধশ্বাস জয় এনে ১-১ এ সমতা এনে সিরিজ শেষ করলো পাকিস্তান। চলতি সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই তাদের প্রথম জয়।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। পঞ্চম ওভারের মাথায় স্কোরবোর্ডে দলীয় ৩২ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার ফখর জামান (১) এবং বাবর আজম (২১)।
কিন্তু এরপরই পাশার দান পুরোপুরি পালটে যায়। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ জুটি বাঁধেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন মুখ হায়দার আলির সঙ্গে। দুজনের ৬১ বলে ১০০ রানের জুটিতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় সফরকারীরা।

অভিষেকেই ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে সকলের নজর কাড়েন হায়দার। সেই সঙ্গে গড়ে বসেন অনন্য এক রেকর্ড।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের অভিষেক ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ফিফটি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন হায়দার আলি। এতদিন ধরে অভিষেক ম্যাচে পাকিস্তানিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ছিল উমর আমিনের। ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৪৭ রান করেছিলেন তিনি।
অপরদিকে হাফিজ খেলেন অপরাজিত ৫২ বলে ৪ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৮৬ রানের ইনিংস। শেষতক ৪ উইকেটের খরচায় পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৯০ রানে।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করার অনুপ্রেরণা নিয়ে মাঠে নামে স্বাগতিকরা। ১৯১ রান তাড়ার ইনিংসটাও দারুণ ভাবে শুরু করেন ওপেনার টম ব্যান্টন। ৩১ বলে ৪৬ করলেও অপরপ্রান্তের সতীর্থদের ভেতর চলছিল আসা যাওয়ার মিছিল। ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো (০), ডেভিড মালান (৭) এবং ইয়ন মরগ্যান (১০)।
পাঁচে নেমে মঈন আলির ঝড়ো ৩৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে কিছুটা লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগালেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি স্যাম বিলিংস (২৪ বলে ২৬), লুইস গ্রেগরি (৮ বলে ১২) ও ক্রিস জর্ডানরা (২ বলে ১)। পাকিস্তানি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে ৮ উইকেটের খরচায় ১৮৫ রান তুলে থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংসের চাকা।
আর এরই সুবাদে ৫ রানের এক দুর্দান্ত জয় নিয়ে ইংল্যান্ড সফর শেষ করে পাকিস্তান। এই জয়ে সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। শেষ ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পাশাপাশি ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারও জিতেছেন মোহাম্মদ হাফিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ১৯০/৪
(হাফিজ ৮৬*, বাবর ২১; জর্ডান ২/২৯, মঈন ১/১০)
ইংল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৮৫/৮
(মঈন ৬১, ব্যান্টন ৪৬; ওয়াহাব ২/২৬, আফ্রিদি ২/২৮)