উপমহাদেশে 'লকডাউন' নতুন নয়: বাউচার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১৭ সালের হাসান আলী ফিরে এসেছে: সালমান
২৯ মে ২৫
দীর্ঘ ১৪ বছর পরে পাকিস্তানে সফর করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে পুরোটা সময়ই তাদেরকে জৈব সুরক্ষা বলয় মেনে থাকতে হবে। অনুশীলন বা খেলার সময় ছাড়া হোটেলের বাইরে বের হওয়ার অনুমতি নেই তাঁদের। যদিও নব্য সাধারণ এই জীবনটি উপমহাদেশীয় সফরে নতুন কোন দৃশ্য নয় বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ মার্ক বাউচার।
দীর্ঘদিনের নির্বাসন কাটিয়ে প্রোটিয়ারা পাকিস্তান সফর করেছিলো ১৯৯৭ সালে। সেই সফরেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো বাউচারের। এমনকি ২০০৭ সালের সর্বশেষ সফরেও উইকেটরক্ষক হিসেবে গ্লাভস হাতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তাই পাকিস্তানে সফরকারী দলগুলোর নিয়মনীতি তাঁর ভালোই জানা।
এশিয়ার বড় চার ক্রিকেটীয় দেশে সফর করলে সাধারণত হোটেল থেকে বের হওয়ার সেভাবে অনুমতি পান না সফরকারী দলের সদস্যরা। আর এমন পূর্ব অভিজ্ঞতাই পাকিস্তান সফরেও কিছুটা কাজে দেবে বলে মত এই কোচের। দেশ ছাড়ার আগে ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন বাউচার।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'উপমহাদেশে লকডাউন সাদৃশ্য পরিস্থিতিতে হোটেলে বসে সময় কাটানোর অভ্যাস আমাদের রয়েছে। আমাদের গেমস রুম থাকে সেখানে আমরা নিজেদের ব্যস্ত রাখি। এখন নেটফ্লিক্স সবার মন জয় করেছে কারণ ঘরে শুয়েই সময় কাটানোর ভালো মাধ্যম সেটি।'
জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকলেও সেটিতে খুব বেশি ভিন্নতা দেখছেন না বাউচার। ভিন্নতা রয়েছে শুধুমাত্র সফরের শুরুতেই সঙ্গনিরোধ অবস্থায় থাকা। একই সঙ্গে অল্প সময়ে একাধিক করোনা পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়া বরং কিছুটা কঠিন। যদিও ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই অভিজ্ঞতা ইতোমধ্যেই তাঁদের রয়েছে। আর একারণেই সফলতার বিষয়ে প্রত্যয়ী প্রোটিয়া কোচ।
বাউচার আরও বলেন, 'বিগত উপমহাদেশ সফরগুলো থেকে ভিন্ন কিছুই আমি দেখতে পারছি না। অধিকাংশ সময়েই নিজের ঘরেই সবাইকে সময় কাটাতে হয়। অনেকগুলো পরীক্ষার (করোনা) মুখোমুখি হতে হবে এটিই সবচেয়ে কঠিন অংশ।'
'সফরের প্রথম কয়েকদিন সঙ্গনিরোধ মেনে নিজেদের ঘরে বন্দী থাকতে হবে। এটি আমরা আগেও সফলভাবেই মেনে চলেছি। আমরা এটিকে আবারো সফল করবো। আবারো সফলভাবে ক্রিকেটকে ফেরাতে আমাদের সব নিয়ম মেনে চলতেই হবে।'
আসন্ন এই সিরিজে দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে এই দুইদল। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে পা রাখবে কুইন্টন ডি ককের দল। সূচি অনুযায়ী করাচিতেই ২৬ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর ৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
টেস্ট সিরিজ শেষে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১১, ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো। সবগুলো ম্যাচই হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। পুরো সফরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে দুইদলের ক্রিকেটারদের।