সাইফের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের টানা দুই জয়

ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাইফ হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও শেষ দিকে শামীম হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ফলে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো সাইফের দল।
আইরিশদের দেয়া ২৬১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। তবে বিপত্তিটা ঘটে নবম ওভারে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে রোহান প্রিটোরিয়াসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ। ২৮ বলে ১৭ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
তানজিদের বিদায়ের তিনে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ও সুবিধা করতে পারেননি।। ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন গ্যারেথ ডেলানির বলে। এদিন থিতু হতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বিও। দলীয় ১২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা।
যদিও সেখান থেকে টাইগারদের টেনে তোলেন অধিনায়ক নিজেই। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। দলকে চালকের আসনে বসানোর পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন সাইফ। ১০৯ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো সাইফ শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১১ চার ৫ ছক্কায় খেলেন ১২০ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস করে। এরপর তিনি সাজঘরে ফিরলেও বাকি পথটা সামলে নেন শামীম পাটোয়ারি ও তৌহিদ হৃদয়।

এই দুজনের অবিচ্ছেদ্য ৬৯ রানের জুটিতে ২৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ৪৪ বলে ৪৩ রানে তৌহিদ ও ২৫ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। আইরিশদের হয়ে এদিন ডেলানি দুইটি এবং চেজ ও প্রিটোরিয়াস একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম উইকেট জুটি থেকে পঞ্চম উইকেট জুটি, সবগুলোতেই এসেছে ৩০ এর ওপরে রান। আর পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ৬০ রান যোগ করেন কার্টিস ক্যাম্ফার এবং লর্কান টাকার। ফলে ২০০ রান তুলতে তাদের খরচ করতে হয় ৪ উইকেট।
কিন্তু পরের ৬০ রান তুলতেই তারা হারিয়েছে বাকি ৩ টি উইকেট। যার কৃতিত্ব পেতে পারেন ইমার্জিং দলের পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটও তার। ১০ ওভারে ৫৩ রান খরচায় তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর উলভসের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে টাকারের ব্যাট থেকে।
মাত্র ৫৩ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ৯টি চার ও ২ টি ছয়ের মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা ক্যাম্ফারকে ফেরার সুমন খান। ৪০ রান করা জেমস ম্যাককালাম রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান। রাকিবুল হাসানের করা ওভারে রান নিতে গিয়ে উঁড়ুর পেশিতে টান পড়ে তার।
আগের ম্যাচে ৯০ রান করা রোহান প্রিটোরিয়াস এদিন ব্যাট হাতে হয়েছেন ব্যার্থ। মাত্র ৭ রান করে তৌহিদ হৃদয়ের থ্রোতে রান আউটের শিকার হতে হয় তাকে। জেরোমি ললোর করেন ২১ রান। মুকিদুলের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
অধিনায়ক হ্যারি টেক্টরের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। হৃদয়ের স্পিনে আকবর আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর আর কোন উলভস ব্যাটসম্যানই বলার মতো রান করতে পারেননি। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৬০ রান। মুকিদুলের ৩ টি ছাড়াও ১ টি করে উইকেট শিকার করেন সুমন ও হৃদয়, বাকী দুটি রান আউট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরবোর্ড:
আয়ারল্যান্ড উলভস: ২৬০/৭ (৫০ ওভার) (ম্যাককালাম ৪০, টাকার ৮২*, মুগ্ধ ৩/৫৩)
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ২৬৪/৪ (৪৫.৩ ওভার) (সাইফ ১২০, হৃদয় ৪৩*, শামীম ৪৪*, ডেলানি ২/৫২)