জন্মভূমিতে খেলতে তর সইছে না খাওয়াজার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলেছেন উসমান খাওয়াজা। কিন্তু সুযোগ হয়নি জন্মভুমি পাকিস্তানে খেলার। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটসম্যানকে সেই সুযোগ করে দিল এবার। পিএসএলের বদলি ড্রাফট থেকে তাকে দলে নিয়েছে ইসালামাবাদ ইউনাইটেড।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদেই জন্ম খাওয়াজার। তবে ছোটবেলাতেই পরিবারসহ পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। ২০১১ সালে ডাক পান অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলেও। এবার ২০২১ সালে এসে পাকিস্তানের মাটিতে ফিরতে যাচ্ছেন ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
খাওয়াজার পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান জানেমান মালানকেও স্কোয়াডে ভিড়িয়েছ ইসলামাবাদ। আগামী জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া পিএসএলের এই স্থগিত আসরে অবশেষে দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ফুরাবে খাওয়াজার। খাওয়াজা ছাড়াও পিএসএলের দ্বিতীয় পর্বে অস্ট্রেলিয়ান থাকছেন আরও তিনজন।

তারা হলেন জেমস ফকনার, জো বার্নস এবং ক্যালাম ফার্গুসন। তাদের প্রত্যেককে কিনেছে লাহোর কালান্দার্স। আগামী ১ জুন থেকে শুরু হবে পিএসএলের বাকি থাকা ২০ ম্যাচের খেলা। যেখানে প্রথম দিনই মাঠে নামবে খাওয়াজার ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
আর দলটির হয়ে খেলার জন্য অপেক্ষার তর সইছে না অসি বাঁহাতি তারকা ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমে খাওয়াজা বলেছেন, ‘আমি ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে খেলেছি। কিন্তু কখনও পাকিস্তানি খেলিনি, যেখানে আমার জন্ম।’ আমি পাকিস্তানে খেলতে ভালোবাসবো।'
'আমাদের বাড়িতে যেতে পছন্দ করব, যেখানে আমার এবং আমার পরিবারের সবকিছু শুরু। পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরতে দেখা আমার জন্য আনন্দের। তারা সত্যিই অনেক ভালো করছে পুনরায় ক্রিকেটের পরিবেশ স্বাভাবিক করতে’ আরও যোগ করেন তিনি।
খাওয়াজা মতে, পিএসএলেও যদি আইপিএলের মতো অর্থের ঝনঝনানি থাকত, তাহলে বিশ্বের নামি ক্রিকেটাররা এখানেও খেলতে আসত। ২০১৬ সালের আইপিএলে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে ৬টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। আর পরের মৌসুমের পুরোটাই কাটান বেঞ্চে।
তার ভাষ্য, ‘আমি মনে করি, পিএসএলে যদি আইপিএলের মতো অর্থকড়ি থাকত, তাহলে বিশ্বের সকল খেলোয়াড় অবশ্যই সেখানে খেলত। দিন শেষে কেউ এটা নিয়ে কথা বলতে চায় না। কিন্তু টাকা অবশ্যই বড় বিষয়।’