‘কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে ভালো সম্পর্কে পাকিস্তান দলে সুযোগ হয়’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১৭ সালের হাসান আলী ফিরে এসেছে: সালমান
২৯ মে ২৫
কোচ আর অধিনায়কের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক না থাকলে দল থেকে জায়গা হারাতে হয়। পাকিস্তানে ক্রিকেটে এমন অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে বাত্য থাকা জুনায়েদ খানও একই অভিযোগ তুললেন। পাকিস্তানের বাঁহাতি এই পেসার মনে করেন, কোচ আর অধিনায়কের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে বেশি সুযোগ হয়।
২০১১ সালে অভিষেকের পর টানা কয়েক বছর জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন জুনায়েদ। তবে সময়ের পালাক্রমে জাতীয় দলের তিন ফরম্যাট থেকেই জায়গা হারিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। যার শুরুটা হয়েছিল টেস্ট দিয়ে। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া জুনায়েদ খেলেছেন এখন পর্যন্ত ২২ টেস্ট।
যেখানে নিয়েছেন ৭১ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পরও ২০১৫ সালের পর সাদা পোশাকের দলে বাত্য হয়ে পড়েছেন তিনি। ২০১৪ সালের পর খেলতে দেখা যায়নি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। প্রায় ৮ বছর ওয়ানডে ক্রিকেট খেললেও ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে জায়গা হারান তিনি।

এরপর প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি ৩১ বছর বয়সি এই পেসারের। দলে বেশি সুযোগ পাওয়ার জন্য কোচ এবং অধিনায়কের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। জুনায়েদের ধারণা, একজন ক্রিকেটার কোন শহর থেকে এসেছে সেটাও নাকি নির্ভর করে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে।
এ প্রসঙ্গে জুনায়েদ বলেন, ‘আপনার যদি কোচ আর অধিনায়কের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকে তাহলে আপনি বেশি সুযোগ পাবেন। এটি নির্ভর করে আপনি কোন শহরের। আপনি যদি কোনো বড় শহরের হয়ে থাকেন তাহলে সবাই আপনার পক্ষে কথা বলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আর ইয়াসির শাহের মতো লোকেরা সোয়াবি। এখান (সোয়াবি) থেকে কোনো টিভি চ্যানেল বা মিডিয়া ব্যক্তি নেই, তাই মিডিয়া থেকে আমাদের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচকদেরও কোনো চাপ নেই।’
বাঁহাতি এই পেসার আরও অভিযোগ করেছেন যে জাতীয় দলে খেলার সময় বিশ্রাম চাইলেও তাঁকে বিশ্রাম দেয়া হতো না। সেই সঙ্গে পারফর্ম করার পরও তাঁকে সঠিকভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছিল না।
জুনায়েদ বলেন, ‘আমি তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি। আমি বিশ্রাম চাইতাম কিন্তু আমাকে বিশ্রাম দেয়া হয়নি। এরপর এমন একটা সময় এসেছিল যখন আমি খারাপ করলাম তখন পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে উপেক্ষা করা হলো। আমি পারফর্ম করছিলাম তবে সঠিক সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল না।’