হেসে খেলে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ম্যাচের ফলাফল তৃতীয় দিনেই অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তারপরও পাকিস্তানের জিততে প্রয়োজন ছিল মাত্র এক উইকেট। চতুর্থ দিন সকালে খেলা হল মাত্র পাঁচ ওভার। তাতেই শেষ জিম্বাবুয়ের ইনিংস। স্বাগতিকরা অল আউট ২৩১ রানে। সফরকারীরা ইনিংস এবং ১৪৭ রানে জিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিল জিম্বাবুয়েকে।
তৃতীয় দিনে উইকেট এবং কন্ডিশন থেকে বড় কোনো সুবিধাই পাননি বোলাররা। তারপরও উইকেটে জমে থাকতে পারেনি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। হাসান আলি, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের দারুণ বোলিংয়ে চললো তাদের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল।
১৫ উইকেট পতনের দিনে রোববারই ম্যাচ শেষ করার আশা জাগিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাদের অপেক্ষায় রেখেছে জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট জুটি। চতুর্থ দিন সকালে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রিচার্ড নাগারাভা আউট হলে ২৩১ রানেই থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।

জিম্বাবুয়ের ১০ ব্যাটসম্যানের উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং নওমান আলি। দুজনের শিকার ৫টি করে উইকেট। আগের দিন ৪ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করা আফ্রিদি এদিন তুলে নেন নিজের পঞ্চম উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুুয়ে করেছিল মাত্র ১৩২ রান। তাদের অল্প রানে থামিয়ে দেওয়ার মূল কারিগর হাসান ২৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। আগের টেস্টেই ৩৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার।
এই টেস্টে প্রথমে ব্যাটিং করে পাকিস্তান গড়েছিল রানের পাহাড়। সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন আজহার আলী। আউট হন ১২৬ রানে। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন আবিদ আলী। তিনি অপরাজিত ছিলেন ২১৫ রানে। তবে ৯৭ রানে আউট হয়েছিলেন নওমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১৪৭.১ ওভারে ৫১০/৮ ইনিংস ঘোষণা (আবিদ ২১৫*, আজহার ১২৬, নওমান ৯৭) (মুজারাব্বানি ২৯-৬-৮২-৩)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৬০.৪ ওভারে ১৩২ অল আউট (চাকাভা ৩৩, (হাসান ১৩-৪-২৭-৫)
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৬৮ ওভারে ২৩১ অল আউট (চাকাভা ৮০, টেইলর ৪৯) (আফ্রিদি ২০-৫-৫২-৫, নওমান ২১-৩-৮৬-৫)