‘দলে ফিরতে ব্ল্যাকমেইল করছেন আমির’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট নিয়ে আইপিএল খেলতে চান আমির
২৪ এপ্রিল ২৫
প্রচণ্ড মানসিক নির্যাতন, অসহনীয় চাপ ও দলে বৈরি পরিবেশের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন মোহাম্মদ আমির। অবসরের পর বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বারবার পাকিস্তান ক্রিকেটের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অপমানজনক আচরণের কারণেই তিনি তাড়াতাড়ি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তবে পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার দানিশ কানেরিয়ার মনে করেন, আবারও জাতীয় দলে ফিরতে এসব বলে ব্ল্যাকমেইল করছেন আমির।

এ প্রসঙ্গে কানেরিয়া বলেন, ‘আমি আমিরের মন্তব্য প্রসঙ্গে একটাই কথা বলতে চাই যে প্রত্যেকেরই নিজেদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমি মনে করি যে ও নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে, যাতে জাতীয় ক্রিকেট দলে আবারও ফিরে আসতে পারে। ও নিজেই বলেছে যে ইংল্যান্ডে থাকতে চায়, ওখানকার নাগরিকত্ব নিতে চায়, তারপর ভারতে খেলতে চায়। এই পরিস্থিতিতে আপনারাই ওর মানসিকতা বিচার করুন।’
ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই: কানেরিয়া
২৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ে সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছিলেন আমির। যার জন্য তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছিল। এরপরও স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অভিজ্ঞ এই পেসার। আমির যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন তখন পাকিস্তানের প্রধান কোচ ছিলেন ওয়াকার ইউনিস আর টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন মিসবাহ উল হক।
পিসিবি স্বাগত জানালেও আমিরকে দলে নেওয়ার প্রতিবাদে তখন ক্যাম্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলিরা। তারপরও তাকে নেওয়া হয়েছিল, সেটিই মনে করিয়ে দিলেন কানেরিয়া। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক এই স্পিনার জানিয়েছেন যে, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রাফিতে ভালো করলেও গেল দেড় বছরে আহামরী কোনো পারফরম্যান্স করে দেখাতে পারেননি বাঁহাতি এই পেসার।
কানেরিয়া বলেন, ‘আমিরের এটা বোঝা উচিত যে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ওকে জাতীয় ক্রিকেট দলে ফিরিয়ে এনে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছিল। কিন্তু, বিগত দেড় বছর ধরে ওর পারফরম্যান্স একেবারে নেই বললেই চলে। এটা মেনে নিচ্ছি যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ও যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছিল। কিন্তু, তারপর থেকে পারফরম্যান্স ক্রমশ খারাপ হতে থাকে।’