বোল্ট-জেমিসনরা কিউদের সেরা বোলিং আক্রমণ: জার্গেনসন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কিছুদিন আগেই ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ের নেপথ্যে সবথেকে বড় অবদান ছিল কিউই পেস ইউনিটের। যেখানে অভিজ্ঞ টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে ছিলেন কাইল জেমিসনের মতো তরুণ তুর্কি। নিউজিল্যান্ডের বোলিং কোচ শেন জার্গেনসনের মতে তাই এটাই তাদের সেরা বোলিং ইউনিট।
অনেক দিন ধরেই বিশ্ব ক্রিকেটকে দারুণ সব পেসার উপহার দিয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যন্ড। এক সময়ের রিচার্ড হ্যাডলি, শেন বন্ড থেকে শুরু করে হালের সাউদি কিংবা বোল্ট সবাই ছিলেন বিশ্বমানের। বর্তমান পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে বেশ আশাবাদী জার্গেনসন। বিশেষ করে জেমিসনের প্রশংসা ঝড়লো জার্গেনসনের কন্ঠে।

তিনি বলেন, ‘কাইলের উচ্চতা এবং সঠিক জায়গায় বল করতে পারা, সে উভয় দিকেই ভাল গতিতে সুইং করাতে পারে। টিমের (সাউদি) সঠিক জায়গায় বল করতে পারা এবং নতুন বল কাজে লাগানোর দক্ষতা অসাধারণ। সে ডানহাতি, বাঁহাতির জন্য অলরাউন্ড ও ওভার দুই দিকেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ট্রেন্টের নতুন বলে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আমরা জানি কিন্তু সে পুরাতন বলেও উইকেট পায়। সে অনেক দিন ধরেই এটি করে আসছে তাই এটি আমার ও দলের জন্য নতুন কিছু নয়। আমরা জানি নেইলের লেন্থ বল খেলতে দ্বিধায় পরে ব্যাটসম্যানরা। দুই দিকেই বল সুইং করানোর মত ভিন্ন রকম দক্ষতা আছে তার। কলিন ১২৫ গতিতে সঠিক জায়গায় বল করে। এই বোলিং ইউনিট আমার জন্য সেরা হতে পারে এবং তারা এটি প্রমাণ করেছে।’
টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৭৯ ম্যাচে সাউদির শিকার ৩১৪ উইকেট। ক্যারিয়ারে ১০ উইকেট নিয়েছেন একবার আর পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ১২ বার। আরেক অভিজ্ঞ পেসার বোল্ট টেস্ট খেলেছেন ৭৩ টি। যেখানে তিনি শিকার করেছেন ২৭৩ উইকেট।
সদ্য সমাপ্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও দাপট ছিল কিউই পেসারদের। সাউদি ১১ ম্যাচে ৫৬ উইকেট নিয়ে সেরা বোলারের তালিকায় ছিলেন চার নম্বরে। সাত টেস্ট খেলে ১২.৫৩ গড়ে জামিসন নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। যেখানে ১০ ম্যাচ খেলে বোল্ট পেয়েছেন ৩৯ উইকেট। আর সাউদি, বোল্ট, জেমসন ও ওয়াগনার মিলে শিকার করেছেন প্রতিপক্ষের ১৭৩ উইকেট।