মালিকেই বাজি রাখছেন ওয়াসিম আকরাম

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘দুবাইয়ের বাইরে খেললেও ভারত চ্যাম্পিয়ন হতো’, একই মত গাভাস্কার-আকরামদের
১২ মার্চ ২৫
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিস গেইলের পর সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে খেলবেন শোয়েব মালিক। মাস দুয়েক পরই ৪০ বছর বয়সে পা রাখবেন তিনি। বয়স বাড়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মালিক কতটা আলো ছড়াতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ক্যারিয়ারের এই পড়ন্ত বেলায় এসেও মালিক পাকিস্তানের জন্য জীবন রক্ষাকারী হয়ে উঠতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াসিম আকরাম।
শুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ছিলেন না মালিক। সুযোগ পাননি রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবেও। পরবর্তীতে শোয়েব মাকসুদ চোটে পড়লে কপাল খুলে যায় মালিকের। এরপর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হওয়ায় অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে মালিককে দলে সংযুক্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মালিকের নেতৃত্বেই ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। তাছাড়া ২০০৯ সালের আসরে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতার কারণে মালিককে এগিয়ে রাখছেন আকরাম।
পিসিবির ৫ লাখ রুপির চাকরি ছেড়ে দিলেন মালিক
১৫ মে ২৫
এ প্রসঙ্গে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সে পাকিস্তানের জীবন রক্ষাকারী হয়ে উঠেছে। এমনকি এই বয়সেও সে এই ভূমিকা পালন করতে পারে, যখন আপনি ওর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সে দুর্দান্ত এবং অনুশীলনের ব্যাপারে বেশ মনোযোগী। ওকে এখনও বেশ প্রফুল্ল দেখায়, এর অর্থ সে এখনও উচ্চতর অবস্থানে থাকতে চায়।’
১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় মালিকের। সে সময় পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন ওয়াসিম। মালিককে ভালো বোলার ও ফিল্ডার হিসেবেই দলে নিয়েছিলেন তিনি।
মালিকের প্রশংসা করে সবশেষে ওয়াসিম বলেন, ‘১৯৯৯ সালে মালিক যখন পাকিস্তান দলে আসল সে সময়টার কথা আমার মনে আছে। সে তখন ১৬-১৭ বছর বয়সী হাড্ডিসার তরুণ ছিল। আমি প্রথমে ওকে একজন বোলার ও ফিল্ডার হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম এবং আমি জানতামই না যে ও এত ভালো ব্যাট করে।’