‘অদ্ভুত’ তত্ত্বে বিপ্লবকে বল করাননি মাহমুদউল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মোহামেডানের নেতৃত্বে এবার মাহমুদউল্লাহ
১৬ এপ্রিল ২৫
একাদশে থাকলেও পুরো ম্যাচ জুড়ে মাত্র দুই বল করার সুযোগ পেয়েছেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। নিজে বোলিং করলেও ২০তম ওভারের আগে বিপ্লবকে বোলিংয়ে আনেননি মাহমুউল্লাহ রিয়াদ। কেন বোলিংয়ে আনেননি বিপ্লবকে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হলে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জানিয়েছেন, দুইজন বাঁহাতি ব্যাটারদের থাকার কারণে তাঁকে বোলিংয়ে আনা হয়নি।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানকে দিয়ে। পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। পাশাপাশি শুরুর দিকে দারুণ বোলিং করেছেন তিন পেসার তাসকিস আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
তাঁদের কল্যাণে ২৪ রানে পাকিস্তানের তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। বাবর আজমের দল চাপে পড়লেও বোলিংয়ে দেখা যায়নি বিপ্লবকে। পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট হারানো পাকিস্তানের প্রতিরোধ গড়ে তুলেন দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফখর জামান ও খুশদিল শাহ।

যে কারণে লেগ স্পিনারকে বোলিংয়ে না এনে অধিনায়ক নিজে বোলিং করেছেন। পঞ্চম বোলার হিসেবে বিপ্লবকে দলে রাখা হলেও তাঁকে বোলিং না দিয়ে অধিনায়ক বল করায় খানিকটা অবাক হয়েছেন অনেকেই। কেন বিপ্লবকে বোলিংয়ে আনা হয়নি, ম্যাচ শেষ এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে।
সেখানে অধিনায়ক যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন যে, দুজন বাঁহাতি ব্যাটার থাকার কারণে বিপ্লবকে বোলিংয়ে আনেননি তিনি। তবে বাঁহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে বাঁহাতি বোলার কিংবা লেগ স্পিনাররা বোলিং করতে পারবে না কিংবা বোলিং করলে সাফল্য পাবে না এমন ভাবনাটা একেবারেই ভুল।
যার প্রমাণ পেতে পরিসংখ্যান বা পূর্বের ইতিহাস বের করার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাঁহাতি আফিফ হোসেন ধ্রুবকে আউট করেছেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। এদিকে অদ্ভুত এই তত্ত্ব মানতে গিয়ে বেশ কয়েকবারই বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে।
যার সর্বশেষ উদাহরণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ। দুই বাঁহাতি ব্যাটার চারিথ আসালঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকশে ক্রিজে থাকার কারণে দারুণ বোলিং করা সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে না এনে আফিফ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বোলিং করেছিলেন।
যেখানে সেই দুই ওভারে ৩১ রান দিয়েছিলেন তারা দুজন। যে কারণে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। সেদিন অবশ্য বাঁহাতি রাজাপাকশেকে আউট করেছিলেন বাঁহাতি নাসুম। এমন কিছু দেখার পরও পুরোনো তত্ত্ব বিশ্বাসে মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল বোলিং করানোর। কিন্তু যেহেতু দুইটা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছিল তাই আমাকে বল করতে হয়েছে।’