‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ভালো করবে বাংলাদেশ’

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ডট বলের মন্ত্রেই সফল মোসাদ্দেক
৬ এপ্রিল ২৫
পুরোনো প্রথা ভাঙলেও সাফল্য মেলেনি জিম্বাবুয়ে সফরে। তরুণরা সাহস আর উদ্দীপনা দেখানোর বদলে খানিকটা আত্মসমর্পণ করেছে জিম্বাবুয়ের কাছে। নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পেলেও সেটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেননি সিনিয়রদের বিশ্রামে সুযোগ পাওয়া তরুণ ক্রিকেটাররা। উল্টো দুূর্বল জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ খুইয়েছেন লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্তরা। ক্রেইগ আরভিনের দলের কাছে সিরিজ হারলেও এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আশাবাদী মোসাদ্দেক। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে আশা দেখাচ্ছে সাকিব আল হাসান ও অন্যান্য ক্রিকেটারের প্রত্যাবর্তন।
সিরিজ শুরুর আগেই জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সাকিব। তরুণদের বাজিয়ে দেখতে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে। যদিও সিরিজের শেষ ম্যাচে ফেরানো হয় মাহমুদউল্লাহকে। ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ে সফরে নেই ইয়াসির আলী রাব্বি এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৎ

যদিও এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও বাংলাদেশ দলে ফিরছেন এই পাঁচ ক্রিকেটার। তারা ফিরলেই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ভালো করবে বাংলাদেশ। এমন আশার কথা শুনিয়েছেন মোসাদ্দেক। যদিও পরিসংখ্যান বলছে একেবারে ভিন্ন কথা। পূর্ণ শক্তির দল থাকার পরও নিজেদের সর্বশেষ ১৫ টি-টোয়েন্টির মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে দেশ থেকে করে আসা পরিকল্পনা অনুযায়ীই জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ খেলেছে বলে দাবি করেছেন মোসাদ্দেক।
বাবর-রিজওয়ান-শাহীনকে ছাড়াই বাংলাদেশ সিরিজে খেলবে পাকিস্তান
৩ ঘন্টা আগে
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আপনি দেখেন, এখানে আসার আগে যেমন পরিকল্পনা করেছি—কত রান করতে চাই। এ ম্যাচ বাদ দিলে পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব হচ্ছিল। টি-টোয়েন্টিতে সামনে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ আছে; সাকিব ভাই আসবেন, আরও প্লেয়ার আসবে। ইনশা আল্লাহ আমরা ভালো করব।’
লম্বা সময় ধরেই বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে পারছেন না টপ অর্ডার ব্যাটাররা। মাঝে মাঝে লিটন দাস কিংবা অন্য কোনো ব্যাটার হাতে গোনো দু-একটা ভালো ইনিংস খেললেও সেটাতে নেই ধারাবাহিকতা। এদিকে শুরুটা যেমন তেমন মাঝের সময়টায় আরও খানিকটা ছন্নছড়া টাইগাররা। শুরুর দিকে দ্রুত রান তোলার আক্ষেপ মেটাতে মাঝের সময়টায় জুটি বেঁধে ইনিংস গড়ার বিকল্প নেই।
সেখানে অবশ্য আরও পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। মাঝে মাঝে কিছু জুটির দেখা মিললেও রান তোলায় বেশ ধীরগতির তারা। সেটার কারণে শেষ দিকে বাংলাদেশ চাপে পড়ছে বলে মনে করেন মোসাদ্দেক। এদিকে ব্যাটিংয়ের পাশপাশি মাঝের সময়টায় বোলিংয়েও সমস্যা দেখছেন এই স্পিন অলরাউন্ডার।
মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমরা ম্যাচটা থেকে সরে যাচ্ছি মাঝের ওভারে। যদি বোলিংয়ে দেখেন, তাহলে মাঝের ওভারে আমরা উইকেট বের করতে পারছি না। ব্যাটিংয়েও একই ঘটনা। মাঝের ওভারে খেলাটা যেভাবে তৈরি করা দরকার, সেভাবে হচ্ছে না। যে কারণে শেষের দিকে আমরা চাপে পড়ছি।’