স্পিনারের ‘নো’ বল করা বড় অপরাধ: সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমাদের আরো শিখতে হবে’, সিরিজ হারের পর লিটন
২ ঘন্টা আগে
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গেল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ মাশুল দিয়েছে ছয়টি ওয়াইড এবং চারটি 'নো' বলের। এই দশ রান অতিরিক্ত দেয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত দশটি বলও করতে হয়েছে তাদের। যার প্রভাব পড়েছে ম্যাচের ফলাফলেও। এমনকি লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিসকেও চার বার 'জীবন' দেয় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে এক বার মেন্ডিসের ক্যাচ ধরেছিলেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। যদিও শেখ মেহেদী 'নো বল' করায় জীবন পান পরবর্তীতে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো মেন্ডিস। ম্যাচ শেষে তাই, 'নো' বলের আক্ষেপ শোনা গেল সাকিব আল হাসানের কণ্ঠেও।
ম্যাচটিতে অভিষিক্ত পেসার এবাদত হোসেনই দিয়েছেন সবগুলো ওয়াইড (ছয়টি)। এছাড়া দুটি 'নো' বলও করেন তিনি। মেহেদি করেন দুটি 'নো' বল। যার মধ্যে একটিতে মেন্ডিসকে ফেরাতে পারতো বাংলাদেশ।

এটা ছাড়াও আরও তিন বার বেঁচে যান মেন্ডিস। ২, ২৯, ৩২ এবং ৪৪ রানে বেঁচে যাওয়া মেন্ডিস শেষ পর্যন্ত থামেন ৩৭ বলে ৬০ রান করে। ইনিংসে ছিল চারটি চার এবং তিনটি ছক্কার মার।
এক মাসের জন্য শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং পরামর্শক ইংল্যান্ডের বুন
১৬ মে ২৫
ম্যাচ শেষে অতিরিক্ত রান দেয়া প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, 'টার্নিং পয়েন্ট তো হতেই পারে সেটা।… অনেক সময় পেস বোলাররা ‘নো’ বল করে। স্পিনারদের ‘নো’ বল করা অবশ্যই অপরাধ। সাধারণত আমাদের স্পিনাররা কখনও এরকম ‘নো’ বল করে না। আজকে যেহেতু একটা চাপের ম্যাচ ছিল, বোঝা গেল যে আমরা চাপে এখনও কতটা ভেঙে পড়তে পারি। তাই এই জায়গাগুলোতে আমাদের অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।'
'কোনো অধিনায়কই চায় না, ‘নো’ বল হোক। অবশ্যই এটা একটা অপরাধ। স্পিনার ‘নো’ বল করলে সেটি বড় একটা অপরাধ। তবে আমাদের আরও অনেক জায়গা আছে উন্নতি করার। আজ আমরা অনেক ‘নো’ আর ওয়াইড করেছি, যেটি সুশৃঙ্খল বোলিং নয়। আমরা চাপে ছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত। এটা এমন একটা চাপের ম্যাচ, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেখান থেকে আমরা শিখতে পারি।'
এতগুলো অতিরিক্ত বল করার কারণে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচও শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ। যার কারণে শেষ ওভারে বোলিং করতে হয় সীমানায় চারজন ফিল্ডার রেখে। ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চার বল এবং দুই উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় শ্রীলঙ্কা।