বাড়ি ফেরার আগে বড় দলকে হারাতে চায় জিম্বাবুয়ে

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের একাদশ ঘোষণা, ফিরলেন স্টোকস
১ ঘন্টা আগে
আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা জিম্বাবুয়ে হোঁচট খেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা। স্কটিশদের কাছে হারলে এতক্ষণে বাড়ি ফেরার পথে থাকতে হতো জিম্বাবুয়ে। এখন অবশ্য জিম্বাবুয়েতে ফেরার আগে অন্তত পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হবে সিকান্দার রাজাদের। সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিয়ে সেমিফাইনালের আশায় বুক বাঁধছেন ডেভ হটন। সেটা না পারলেও অন্তত বড় দলকে হারাতে চান তারা।
বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। এর আগে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারিয়েছে তারা। ২০ ওভারের ক্রিকেটে সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে হটনের শিষ্যদের। তবে জিম্বাবুয়ের জন্য আসল পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৪ অক্টোবর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।

প্রোটিয়া ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে হবে জিম্বাবুয়েকে। ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবতে চাওয়া হটনের লক্ষ্য বাড়ি ফেরার আগে প্রতিপক্ষের ক্ষতি করা। হটন মনে করেন, সেমিফাইনাল খেলতে পারলে তাদের জন্য ভালো কিছু হবে।
এ প্রসঙ্গে হটন বলেন, ‘জুনে আমি যখন বুলাওয়ায়োতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সময় দায়িত্ব নেই, তখন প্রধান লক্ষ্য ছিল এখানে (বিশ্বকাপ) আসা। (বিশ্বকাপ খেলতে) দেশ ছাড়ার সময় আমি ছেলেদের বলেছি যে, কোয়ালিফাই করতে পেরেছি, এটি দারুণ ব্যাপার। তবে এটি মূল লক্ষ্য নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সামনে (সুপার টুয়েলভ) যাওয়া এবং পরের ধাপে যতটা সম্ভব (প্রতিপক্ষের) ক্ষতি করা।’
‘আমি উচ্চাশা নিয়ে অবাস্তব চিন্তা করতে চাই না। অবশ্যই সবাই বলবে, আমরা জিততে চাই। আমরা কিছু ক্ষতি করতে চাই। বাড়ি ফেরার আগে যদি কোনো বড় দলকে হারাতে পারি, তাহলে দারুণ হবে। আমরা যদি সেমি-ফাইনালে যেতে পারি, তাহলে আরও ভালো হবে। তবে আমি এখন একটি, একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাববো।’
জুনে হটন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বদলে গেছে জিম্বাবুয়ে। তার অধীনে খেলা ১১ টি-টোয়েন্টির ৯টিতেই জয় পেয়েছে রাজা-শন উইলিয়ামসরা। হটনের অধীনে হঠাৎ কেন বদলে গেল জিম্বাবুয়ে? দলটির প্রধান কোচ জানান, ক্রিকেটারদের শট খেলার স্বাধীনতা দেয়াতেই তারা ভালো করছে।
হটন বলেন, ‘অনেকে আমাকে এটা জিজ্ঞেস করেছে। সত্যি বলতে এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। কারণ আমি শুধু ছেলেদের বলেছি যে, তোমাদের খেলার স্বাধীনতা রয়েছে এবং ভুল করলে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে না। ভুল শট খেলার বা বাজে বল করার ভয়ে থাকলে কেউ ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে উঠতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এভাবে কেউ বড় হতেই পারবে না। আমি শুধু এ কাজটিই করেছি।’