ফিলিপসের সেঞ্চুরির পর বোল্টের আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাইম-বিজয়ের আক্ষেপের দিনে মিরপুরে বৃষ্টির দাপট
২২ ঘন্টা আগে
শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গ্ল্যান ফিলিপসের সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৬৭ রানের পুঁজি পেয়েছিল কিউইরা। জবাবে খেলতে নেমে দলীয় ৮ রানের মধ্যেই শ্রীলঙ্কা হারায় ৪ উইকেট।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কানরা। তারা অল আউট হয়েছে ১০২ রানে। মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। কোনো রান যোগ করার আগেই টিম সাউদির শিকার হন লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা।
এরপর আরেক ওপেনার কুশাল মেন্ডিসকে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফেরান আরেক কিউই পেসার বোল্ট। একই ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকেও আউট করেন তিনি। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে চারিথা আসালাঙ্কার উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেন এই কিউই পেসার।

মিডল অর্ডারে এসে কার্যকর ব্যাটিং করতে পারেননি চামিকা করুনারত্নে। তিনি ৩ রান করে ফেরেন মিচেল স্যান্টনারের প্রথম বলেই। এরপর শ্রীলঙ্কার কিছুটা হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকশে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ভানুকা ৩৪ ও শানাকা ৩৫ রান করে ফিরলে আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেননি।
ইনিংসের ৪ ওভার বাকি থাকতেই তারা অল আউট হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের হয়ে মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট, দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার ও ইস সোধি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৫ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন। এরপর চতুর্থ উইকেটে ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান বাড়াচ্ছিলেন ফিলিপস।
মিচেল ২২ রান করে ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান ফিলিপস। শেষ দিকে এসে নিশাম আউট হন ৫ রান করে। ইস সোধি ফিরেছেন ১ রান করে রান আউট হয়ে। ফিলিপস ৬৪ বলে ১০৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফিরেছেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি ছক্কা আর ১০টি চারে।
শেষ পর্যন্ত স্যান্টনার ১১ ও সাউদি ৪ রান করে অপরাজিত থেকে নিউজিল্যান্ডের লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি উইকেট নেন রাজিথা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাহিশ থিকশানা, ধনঞ্জয়া, হাসারাঙ্গা ও লাহিরু কুমারা।