বাটলারের ঝড়ো ইনিংসের পর বোলারদের দাপটে জিতল ইংল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইনজুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে বাদ আর্চার
৪ ঘন্টা আগে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ের ফলে সেমি ফাইনালে খেলার আশা অনেকটাই বাঁচিয়ে রেখেছে জস বাটলারের দল।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান করেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে খেলতে নেমে ১৫৮ রানে থেমেছে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। মূলত ইংলিশ বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে ম্যাচে ফেরার সুযোগই পায়নি কিউইরা।
ইংল্যান্ডের এই জয়ে জমে উঠেছে 'গ্রুপ ওয়ানের' লড়াই। উপরের তিন দলের পয়েন্ট সমান ৫ করে। যদিও রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে ইংলিশরা।
আর তিন নম্বরে রয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে এরই মধ্যে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে আফগানিস্তান। সবগুলো দলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে।

এই ম্যাচে মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পায়নি নিউজিল্যান্ড। তারা দলীয় ২৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও ফিন অ্যালের উইকেট হারায়। কনওয়ে মাত্র ৩ রান করে আউট হন।
নাইম-বিজয়ের আক্ষেপের দিনে মিরপুরে বৃষ্টির দাপট
২১ মে ২৫
আর অ্যালেনের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস মিলে নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন। দুজনে মিলে যোগ করেন ৯১ রান। উইলিয়ামসন ৪০ বলে ৪০ রান করে ফেরেন।
অধিনায়কের এমন ধীর গতির ইনিংসই পরে চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিউইদের জন্য। একপ্রান্ত আগলে ফিলিপস ৩৬ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। যদিও অপর প্রান্তে ছিল ব্যাটারদের আসা যাওয়া।
শেষ পর্যন্ত মিচেল স্যান্টনার ১০ বলে ১৬ ও ইস সোধি ৬ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকলেও কিউইদের জেতাতে পারেননি। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস ও স্যাম কারান। একটি করে উইকেট পান মার্ক উড ও বেন স্টোকস।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। ব্যাটিংয়ে নেমে অ্যালেক্স হেলসকে নিয়ে বাটলার গড়েন ৮১ রানের জুটি। হেলস হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হন ৫২ রানে।
এরপর মঈন আলীকে ব্যাটিংয়ের প্রমোশন দিয়ে নামানো হলেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আউট হয়েছেন ৫ রান করে। এ ছাড়া লিভিংস্টোন ১৪ বলে ২০, স্টোকস ৭ বলে ৮ করে ফিরে যান।
বাটলার শেষের দিকে হাত খুলে খেলছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ৭৩ রানে তিনি রান আউট হয়ে ফিরলে রানের চাকা ধীর হয়ে যায়। শেষ দিকে স্যাম কারান ৬ ও ডেভিড মালান ৩ রানে অপরাজিত থেকে ইংল্যান্ডের মাঝারি পুঁজি নিশ্চিত করেন।
কিউইদের হয়ে একাই ২টি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি, মিচেল স্যান্টনার ও ইস সোধি। ৪০ রান খরচা করলেও এই ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট।