‘৮ বা ১১ নম্বর ব্যাটারে ম্যাচ জেতার সংস্কৃতি গড়তে চায় বাংলাদেশ’

ছবি: ওয়ালটন

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশকে উড়িয়ে আইসিসির মাস সেরার মনোনয়ন পেলেন ওয়াসিম
১৩ ঘন্টা আগে
দলের সেরা ব্যাটাররা সাফল্য না পেলে কখনও কখনও লোয়ার অর্ডার কিংবা টেইলএন্ডারদের ব্যাট ধরতে হয়। কখনওবা দলকে জেতানোর দায়িত্বটাও তাদের ঘাড়ে বর্তায়। অন্যান্য দেশের নিচের সারির ব্যাটাররা মাঝে মাঝে তা করে দেখাতে পারলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা উল্টো চিত্র। তবে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে সেই গল্প বদলে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আটে নেমে হয়েছেন বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। ৮ কিংবা ১১ নম্বরের ব্যাটাররাও বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাবে, এমন সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চান শেন ম্যাকডারমট।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুস্তাফিজুর রহমান যখন মিরাজের সঙ্গী হলেন তখনও বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫১ রান। হতাশা নিয়ে তখন গ্যালারি ছাড়তে শুরু করেছিলেন খেলা দেখতে আসা সমর্থকরা। তবে চাপের মাঝে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ক্রমশই দৃশ্যপট বদলাতে থাকেন মিরাজ।

ডানহাতি এই ব্যাটারকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মুস্তাফিজও। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ সামলে ভারতের জয় ছিনিয়ে আনেন মিরাজ। এক উইকেটের জয়ে বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে নেন তিনি। এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আবারও স্বাগতিকদের ত্রাণকর্তা মিরাজ। কার্যকরী হাফ সেঞ্চুরিতে তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজের সেঞ্চুরির সঙ্গে শেষ দিকে নাসুম আহমেদের ক্যামিও বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দেয়। বাংলাদেশের নিচের সারির ব্যাটাররা কাজটা যে আয়ত্ত করতে শুরু করেছেন সেটার প্রমাণ মিলেছে প্রথম দুই ম্যাচে। সেই সঙ্গে প্রথম দিনের সেরা পাঁচ ব্যাটারের মাঝে একজনকে অন্তত ৪০ ওভার পর্যন্ত খেলার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশের এই ফিল্ডিং কোচ।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে ম্যাকডারমট বলেন, ‘এটা (টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা) আমাদের জন্য নিয়মিত উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে খানিকটা ভালো উইকেট পাওয়া যাবে এবং প্রতিটি শটের মূল্য রয়েছে। এখানে ধারাবাহিকভাবে বাউন্সও থাকবে। ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের কেপিআই (কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর) হচ্ছে সেরা পাঁচ ব্যাটারের মাঝে একজনের ৪০ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করা এবং যতটা সম্ভব খেলাটাকে গভীরে নিয়ে যাওয়া। প্রথম ২০ বলে ব্যাটিং করাটা কঠিন, ছেলেরা সেই সময়টাই পার করছে।’
‘২০ বল থেকে সেটা ৫০-১০০ বলে নিয়ে যাওয়া এবং ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। সেরা পাঁচ থেকে আমাদের এটা করতে হবে। হ্যাঁ, এই দায়িত্বটা সেরা পাঁচ বা ছয়ের। কিন্তু সবাই ব্যাটার। এই মুহূর্তে আমাদের ৮ নম্বর দেখুন। সে তার আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে। আমরা এমন একটা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই যেখানে ৮ বা ১১ নম্বর যেন আমাদের ম্যাচ জেতাতে পারে।’