আমরা হারার জন্য ব্যাটিং করিনি: লিটন
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লিটনদের মনোবিদ দেখানোর পরামর্শ নান্নুর
১৪ ঘন্টা আগে
চট্টগ্রামের ব্যাটিং স্বর্গে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম-আফিফ হোসেনরা। বরং তেঁড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। অগোছালো ব্যাটিংয়ে ইশান কিশানের একার রানও করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ২২৭ রানে হারের পর লিটন দাস জানালেন, তারা হারের জন্য ব্যাটিং করেননি।
চট্টগ্রামের উইকেটে খানকিটা ঘাস থাকলেও তার সুবিধা নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ-এবাদত হোসেনরা। বরং শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের চেপে ধরেন ইশান কিশান এবং বিরাট কোহলি। তাদের দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচে কখনই নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট বিলিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাও।
এনামুল হক বিজয়-লিটনদের বিদায়ের পর সাকিবের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ভালো স্কোরের আশা দেখাচ্ছিলো। তবে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি সেভাবে। ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছেন মুশফিকরা। আর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বি। সাকিব আল হাসানও চাপে পড়ে উইকেট দিয়েছেন।

পুরো ম্যাচে কখনই নিয়ন্ত্রণ রেখে ব্যাটিং করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বরং বড় রান তাড়ার চাপে নুইয়ে পড়ে মাত্র ১৮২ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। যা কিশানের চেয়ে ২৮ রান। তবে লিটন মনে করেন, দেখে-শুনে খেললে বাংলাদেশ ৩০০ থেকে ৩২০ রান করতো পারতো। সেটা করলে তবুও বাংলাদেশ ম্যাচ হারবেই, সে চিন্তা থেকেই আক্রমণাত্বক খেলেছে বলে জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
বাংলাদেশকে উড়িয়ে আইসিসির মাস সেরার মনোনয়ন পেলেন ওয়াসিম
১২ ঘন্টা আগে
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘আমার কাছে এমন কিছু মনে হচ্ছে না। যে দুইটা ম্যাচের কথা বলছিলেন ভারতীয় দলের অবস্থাও একই ছিল। উইকেটটা এমনই ছিল। আজকে আমাদের রানের তাড়া বেশি ছিল, এখানে যদি ডট বল খেলতেন তাহলে ৩০০-৩২০ করতেন। ম্যাচ হারতেন। আমরা কখনও ম্যাচ হারার জন্য ব্যাটিং করিনাই।’
‘আমরা চেষ্টা করছি যখনই যেই ব্যাটিংয়ে যাবে কিভাবে ম্যাচ জেতা যায়। আমরা যদি ধীরে খেলতাম অনায়াসে ৩০০ করতাম। ডিউ ছিল, কিন্তু দিন শেষে আপনাকে ম্যাচ জিততে হবে। সেটার জন্য অ্যাটাকিং ক্রিকেট খ??লতে হবে। পরেরবার এমন পরিস্থিতি আসলে আমরা এমনই (অ্যাটাকিং) খেলব।’
বাংলাদেশের জন্য ৩০০ কিংবা তার চেয়ে বেশি রান তাড়া করা সবসময়ই কঠিন। এখন পর্যন্ত পাঁচবার বাংলাদেশের তিনশ পেরোনো লক্ষ্য তাড়া করার রেকর্ড থাকলেও সেটা নিয়মিত নয়। তবে লিটন মনে করেন, তাদের ৩০০ রান তাড়া করার সামর্থ্য তাদের রয়েছে। নিয়মিত খেললে এসব চেজ করার অভ্যাস তৈরি হবে বলে জানান লিটন।
বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য আছে কিভাবে ৩০০ চেজ করতে হয়। এটা নিয়ে কোন ফ্যাক্ট হবে না। ইন্ডিয়ার উইকেট অনেক ভালো হয়, আজকে যেমন খেললাম। আমার মনে হয় নিয়মিত খেলতে খেলতে অভ্যাস হয়ে যাবে।’