সুযোগগুলো নিতে পারলে ভারত হয়তো অল আউট হয়ে যেতো: তাইজুল
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মিরাজ-তাইজুলের ব্যাটে বড় লিডে চোখ বাংলাদেশের
২৯ এপ্রিল ২৫
ক্যাচ মিস আর সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন পার করেছে বাংলাদেশ। জীবন পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার, চেতেশ্বর পূজারা ও অক্ষর প্যাটেল। সুযোগ মিস করায় দিন শেষে আক্ষেপে পুড়ছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার মনে করেন, সুযোগ নিতে পারলে ভারত আজই অল আউট হতো।
দারুণ বোলিংয়ে দিনের শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। দলের রান একশ পার হতেই বিরাট কোহলি, শুভমান গিল, লোকেশ রাহুল এবং ঋষভ পান্তকে। তবে এরপর জুটি গড়ে তোলেন আইয়ার ও পূজারা। যদিও শুরুতেই ফিরতে পারতেন আইয়ার।
সাকিব আল হাসানের বলে কাট করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় ক্যাচের সুযোগ পান নুরুল হাসান সোহান। তবে পূজারাকে জীবন দেয়া সোহান ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি আইয়ারেরও। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ভারতকে দারুণ জুটি উপহার দেন এই দুই ব্যাটার।

সেটি ভাঙার সুযোগও তৈরি করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে ডানহাতি এই অফ স্পিনারের উড়িয়ে মারা বল সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে লুফে নিতে পারেননি এবাদত হোসেন। এরপর আরও একবার জীবন পেয়েছেন আইয়ার। এবাদতের নিচু হওয়া বল স্টাম্পে লাগলেও বেল পড়েনি।
বাংলাদেশকে উড়িয়ে আইসিসির মাস সেরার মনোনয়ন পেলেন ওয়াসিম
৯ ঘন্টা আগে
তাতে তৃতীয়বারের মতো জীবন পান প্রথম দিন শেষে ৮২ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার। এদিকে শেষ বিকেলে বাংলাদেশ রিভিউ না নেয়ায় বেঁচে যান অক্ষর। বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে বল লাগার পর সেটি ক্যাচও নেন জাকির হাসান। তবে কেউ সেভাবে আবেদন না করায় ব্যাটে লাগার পরও বেঁচে যান অক্ষর।
পুরো দিনে পাঁচটি সুযোগ মিস করার পরও ভারতের ৬ উইকেট তুুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তবে আইয়ার ও পূজারার দৃঢ়তায় ২৭৮ রান তুলেছে ভারত। এদিকে বাংলাদেশের ব্যাটারদেরও পূজারার মতো মনোযোগ দিয়ে ব্যাটিং করার পরামর্শ দিয়েছেন তাইজুল।
প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল বলেন, ‘আমরা সুযোগগুলো নিতে পারলে ইতোমধ্যে অলআউট হয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তারা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, সে ব্যাটিং করেছে, উইকেটের আচরণ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছে। ও যেটা বলেছে ভালো বলেছে। আমরা যখন খেলব, ব্যাটিং করব, সেভাবে মনোযোগ দিয়ে পূজারার মতো করতে হবে, তাহলে আমরাও ভালো করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ এটা আমি স্বীকার করি (অল আউট করার সুযোগ হাতছাড়া)। এটা বলতে পারেন। আরও ১০-১৫ ওভার বাকি থাকতে ৫-৬ উইকেট পড়ে গেলে, সুযোগগুলো কাজে লাগালে সম্ভব ছিল। অলআউট করা অসম্ভব ছিল না।’