মিরপুরে স্পিনে শক্তি, স্পিনেই ভয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশকে উড়িয়ে আইসিসির মাস সেরার মনোনয়ন পেলেন ওয়াসিম
১১ ঘন্টা আগে
বাংলাদেশের উইকেটে বরাবরই স্পিনারদের আধিপত্য দেখা যায়। বিশেষ করে মিরপুরের উইকেট যেন স্পিনারদের স্বর্গ। যেখানে বল খানিকটা নিচু হওয়ার সঙ্গে ধীরগতির এবং টার্নিং হয়ে থাকে। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে তাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র স্পিন বিভাগ। এমন উইকেটে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশকে নাকানিচুবানি খাইয়েছেন সাকিব আল হাসানরা।
২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টের উইকেটে যে স্পিনারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুলরা স্পিনে পারদর্শী হলেও তাদেরকে চেপে ধরার ক্ষমতা রাখেন মেহেদি হাসান মিরাজ-তাইজুল ইসলামরা। ভারতকে চেপে ধরতে দ্বিতীয় টেস্টেও দেখা যেতে পারে তিন স্পিনারকে।
যেখানে সাকিবের সঙ্গী মিরাজ ও তাইজুল। এদিকে পেস বোলিংয়েও আসছে খানিকটা বদল। এবাদত হোসেন ছিটকে যাওয়ায় মিরপুরে খালেদ আহমেদের সঙ্গে দেখা যাবে তাসকিন আহমেদকে। ম্যাচের আগের দিন অবশ্য এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো নির্বাচক আছে? (হাসি) আমি সেটা বলতে পারছি না। তবে ধারণা করে বলতে পারি তিনজন স্পিনার যারা খেলেছিল এবং তাসকিন ফিরে এসেছে সঙ্গে খালেদ তো আছে। নির্বাচন নিয়ে কাজটা নির্বাচকদের। তবে আমি দেখতে পাচ্ছি এমন কিছুই হতে যাচ্ছে।’

যদিও মিরপুরে পেসারদের দিয়ে খানিকটা আশা দেখেছেন ডোনাল্ড। খালেদ-এবাদতদের অনুপ্রেরণা দিতে ইংল্যান্ডের পেসারদের উদাহরণও টেনেছেন বাংলাদেশের এই বোলিং কোচ। পাকিস্তান সফরে স্পিনারদের কিংবা ব্যাটারদের জন্য সুবিধা থাকলেও দাপট দেখিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসনরা। এমন উইকেটে বোলিং করতে ইংলিশদের পেসারদের মতো মানসিকতা চান তিনি।
ভারতের ৪ ভেন্যুতে নারী বিশ্বকাপ, কলম্বোতে খেলবে পাকিস্তান
২ জুন ২৫
ডোনাল্ড বলেন, ‘আমি সবসময় এ উদাহরণটি ব্যবহার করেছি যে, ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের পেসারদের মানসিকতা কেমন ছিল, ওই পরিস্থিতিতে তারা কীভাবে নিজেদেরকে লড়াইয়ে সম্পৃক্ত রেখেছে। তিন স্পিনার থাকার পরেও পেসার হিসেবে আরও বেশি মেলে ধরতে হবে, মন খুলে বোলিং করতে হবে।’
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে চিন্তার কারণ ব্যাটিং। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি ব্যাটাররা। মোহাম্মদ সিরাজ-কুলদীপ যাদবদের আগুনে বোলিংয়ে অল আউট হয়েছিলেন মাত্র ১৫০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য তা তিনশ পেরিয়ে গিয়েছিল। ওপেনিংয়ে সাফল্য পেলেও দ্বিতীয়ি ইনিংসে আশা দেখা পারেননি লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, মুশফিকুর রহিম এবং নুরুল হাসান সোহানরা।
টেস্টে বেশিরভাগ সময় লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করতে দেখা গেলেও চট্টগ্রামে চারে ছিলেন লিটন। আর তিনে খেলেছেন রাব্বি। নিজের পছন্দের পজিশন ছেড়ে আসায় ব্যর্থ হয়েছেন তারা। টপ অর্ডারের ব্যর্থতা কাটাতে ফেরানো হতে পারে মুমিনুল হককে। তবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারেননি ভারতের স্পিনাররা।
চট্টগ্রামে অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের খেলতেই পারেননি ব্যাটাররা। মিরপুরে তাদের বিপক্ষে টিকে থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশের জন্য। এ যেন ঘরের মাঠে নিজেদের শক্তির জায়গাতেই দুর্বলতা। ভারতের স্পিন পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে হোয়াইটওয়াশ হতে হবে সাকিবদের।
এদিকে বেশ ভালো ছন্দেই রয়েছেন ভারতের ব্যাটাররা। কোহলি সেভাবে না পেলেও প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শুভমান গিল এবং চেতেশ্বর পূজারা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন এক ইনিংসে সুযোগ পাওয়া শ্রেয়াস আইয়ারাও। ম্যাচের আগেরদিন ব্যাটিং করার সময় চোট পেয়েছেন রাহুল। যদিও চোট খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতের ব্যাটিং কোচ। তাতে চট্টগ্রামের একাদশ নিয়েই মাঠে নামতে পারে ভারত।
বাংলাদেশ (সম্ভাব্য একাদশ): নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বি, লিটন দাস, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ এবং তাসকিন আহমেদ।
ভারত (সম্ভাব্য একাদশ): লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পান্ত, অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, উমেশ যাদব এবং মোহাম্মদ সিরাজ।