টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতিতে টেস্টে সফল মুমিনুল!

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বোলিংয়ে মিরাজের উন্নতি, ব্যাটিংয়ে শান্ত-মুমিনুল-জাকের
৩০ এপ্রিল ২৫
থিতু হতে না পারা, বাজে শট খেলে আউট হওয়া, সর্বশেষ এক বছরে মুমিনুলের হকের ব্যাটিংয়ের চিত্রটাই যেন এমন। কোনভাবেই যেন নিজেকে ফিরে পাচ্ছিলেন না বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে মিরপুর টেস্টে ব্যাটারদের হতাশার দিনে আলো ছড়িয়েছেন মুমিনুল। বছরখানেক ধরে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া এই ব্যাটার ভারতের বিপক্ষে টেস্টে সফল হয়েছেন টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতি নিয়ে। সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন জেমি সিডন্স।
চলতি বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল। এরপর থেকেই যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। লম্বা সময়ের অফ ফর্মের চাপে সবশেষ জুলাইয়ে ছেড়েছেন টেস্ট দলের নেতৃত্বও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে প্রথম টেস্ট খেললেও ব্যর্থতার কারণে বাদ পড়েন দ্বিতীয় টেস্টে। দল থেকে বাদ পড়ার আগে নিজের খেলা ১১ ইনিংসের কোনটিতেই হাফ সেঞ্চুরি পাননি মুমিনুল।

এমনকি ১১ ইনিংসের নয়টিতে স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটাও। রান পাচ্ছিলেন না এনসিএল, বিসিএলের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও। ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ায় জায়গা মেলে ভারত জাতীয় বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যর্থতায় অবশ্য আবারও একাদশে ফেরেন মুমিনুল। ঢাকাতে সুযোগ পেয়েই ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
বাংলাদেশকে উড়িয়ে আইসিসির মাস সেরার মনোনয়ন পেলেন ওয়াসিম
৯ ঘন্টা আগে
সেঞ্চুরি না পাওয়া মুমিনুলের ইনিংস থামে ৮৪ রানে। সাফল্যের রহস্য কথা বলতে গিয়ে সিডন্স নিশ্চিত হতে না পারলেও জানালেন, মুমিনুলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং প্রস্তুতির কথাও। মিরপুরে ভালো বলে যেমন ধৈর্য্যে ধরেছে তেমনি বাজে বলে বাউন্ডারিও মেরেছেন।পুরো ইনিংসে ১২ চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মেরেছেন মুমিনুল। তবে বাঁহাত এই ব্যাটারের সেঞ্চুরি না পাওয়াকে লজ্জাজনক বলছেন সিডন্স।
এ প্রসেঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় সে (মুমিনুল) বাজে বলের কথা না ভেবে খেলা নিয়ে ইতিবাচক ছিল। সে ভাবতো আজকে আমি রান করবো। আপনি যখন এটা করবেন তখন আপনার ভালো করার সুযোগ বেশি থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে সে মনে হয় ভালো বল কখন পাবো সেটা না ভেবে কখন পরের রান করবো সেটা নিয়ে ভাবতো।’
‘এটা আসলে মানসিকতা বদল। আমরা তাকে পুরো সপ্তাহ মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আমরা তাকে ব্যাটিং খানিকটা সহজ করে দিয়েছিলাম, সে বল প্রচুর জোরে মারতো। এটা খানিকটা টি-টোয়েন্টির মতো। আমি জানি না তাকে সেটা সহায়তা করেছে নাকি করেনি। কিন্তু সে বেশ কিছু শট খেলেছে এবং সাফল্য পেয়েছে। সে সেঞ্চুরি পায়নি, এটা আসলে লজ্জাজনক।’
চট্টগ্রামে না খেলানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হিসেবে মুমিনুলের টানা ব্যর্থতাকে সামনে এনেছেন সিডন্স। তবে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন দল নির্বাচনে তার তেমন কোন প্রভাব নেই। মূলত তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করার মতো কেউ না থাকাতেই মিরপুরে সুযোগ হয় মুমিনুলের।