আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে রাজা-লিটল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পিএসএলে খেলার পর রিশাদ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও ডাক পাবে: রাজা
৪ মে ২৫
ঘরের মাঠে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রাজা ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ব্যাটে-বলে পুরো বছর জুড়ে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের নতুন দিনের গল্পের সারথী হয়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। পারফরম্যান্স দিয়ে আলো ছড়িয়ে আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন রাজা। সহযোগী দেশ থেকে তার সঙ্গী জশ লিটল।
২০২২ সালটা নিজের স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন রাজা। পুরো বছরে ২৪ টি-টোয়েন্টিতে ৭৩৫ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১৫০.৯২ স্ট্রাইক রেটে রান করা জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডারের হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে পাঁচটি। এ ছাড়া বল হাতে ২৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়েকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে তোলার সঙ্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন রাজা।
এদিকে বল হাতে পুরো বছরে দারুণ ধারাবাহিক ছিলেন লিটল। আয়ারল্যান্ডের বাঁহাতি এই পেসার ২০২২ সালে ৩৯ উইকেট নিয়েছেন। যেখানে ১১ উইকেট নিয়েছেন সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। গত বছর লিটলের চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল ইয়ালিন্দে এনকানায়ার। তানজানিয়ার বাঁহাতি স্পিনার পেয়েছেন ৪৫ উইকেট।

আইসিসির বর্ষসেরা দলে পেসার হিসেবে লিটলের সঙ্গী স্যাম কারান ও হারিস রউফ। ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন কারান। দারুণ বোলিংয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও। এদিকে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন পাকিস্তানের হারিস।
তাদের তিনজনের সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। পুরো বছরে ব্যাট হাতে ৬০৭ রান করার সঙ্গে নিয়েছেন ২০ উইকেট। রাজার সঙ্গে দলের দ্বিতীয় স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ উইকেট নিয়ে সবার ছিলেন থাকা শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার। এশিয়া কাপেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি।
ওপেনিংয়ে পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী জস বাটলার। ব্যাট হাতে রান করার সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। ১৫ ম্যাচ খেলে ১৬০.৪১ স্ট্রাইক রেটে ৪৬২ রান করেছেন বাটলার। বর্ষসেরা দলের নেতৃত্বও পেয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। আর ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী হিসেবে জায়গা পাওয়া রিজওয়ান ১০ হাফ সেঞ্চুরিতে ৯৯৬ রান করেছেন।
তিনে রয়েছেন বিরাট কোহলি। ৫ ম্যাচে ২৭৬ রান নিয়ে এশিয়া কাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ঘুচিয়েছিলেন তিন বছর সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপও। এশিয়া কাপের মতো ছন্দে ছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
যেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী অপরাজিত ৮২ রান করা কোহলি পুরো টুর্নামেন্টে করেছেন ২৯৬ রান। বর্ষসেরা দলে চারে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। স্বপ্নের মতো বছর কাটানো এই ব্যাটার ১৮৭.৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১১৬৪ রান। দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এক বছরে এক হাজার রানও করেছেন সূর্যকুমার। দলের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।
আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল: জস বাটলার (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, গ্লেন ফিলিপস, হার্দিক পান্ডিয়া, সিকান্দার রাজা, স্যাম কারান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, হারিস রউফ এবং জশুয়া লিটল।