কান্না ভেজা চোখ দেখাতে চাননি হারমানপ্রীত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৭ ভেন্যুতে ১২ দলের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, লর্ডসে ফাইনাল
১ মে ২৫
আরেকটি নক আউট, আরেকটি হৃদয় বিদারক স্মৃতি। ভারতের নারী ক্রিকেট দলের আরেকটি হতাশার গল্প। ব্যাট হাতে দারুণ খেলছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর। যদিও ম্যাচটি শেষ করে আসতে পারেননি। ফলে অস্ট্রেলিয়ার কাছে মাত্র ৫ রানে হেরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ভারতকে।
অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ২৮ রান। জেমাইমাহ রদ্রিগেজকে নিয়ে সেখান থেকেই ভারতের ইনিংস টেনেছেন হারমানপ্রীত। এই দুজনে ৪১ বলে যোগ করেন ৬৯ রান।
হারমানপ্রীত ৩৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলে ভারতের স্কোর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ২৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংস এসেছে জেমাইমাহর ব্যাট থেকে। দীপ্তি শর্মা শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেও ভারতকে কাঙ্ক্ষিত জয়ে এনে দিতে পারেননি।

হারের পর হারমানপ্রীতের কান্না ভেজা চোখ আবেগি করেছিল ক্রিকেট দর্শকদের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও কান্না ভেজা চোখ আড়াল করতে সানগ্লাস পড়ে এসেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, দেশের মানুষকে কান্না ভেজা চোখ দেখাতে চাননি তিনি।
এশিয়া কাপ না খেলার গুঞ্জন উড়িয়ে দিল ভারত
১৯ মে ২৫
তিনি বলেন, 'তখন আমার চোখে জল ছিল। চাইনি আমার কান্না দেশবাসী দেখতে পাক। চোখের জল ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে চারপাশে। একটু ধাতস্থ হওয়ার পর হয়ত বুঝতে পারব। জানি না কত দিনে এই হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারব। তবু মনে হয় প্রতিযোগিতায় আমরা যথেষ্ট ভাল ক্রিকেট খেলেছি।'
হারমানপ্রীত মনে করেন তার রান আউটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ইনিংসের শুরু থেকেই তিনি যেভাবে খেলছিলেন রান আউট হওয়া ছাড়া তার উইকেট নেওয়ারও কোনো সুযোগ ছিল না। অবশ্য আউট হওয়ার পরও দীপ্তি শর্মা, রিচা ঘোষদের ওপর বিশ্বাস ছিল তার। কিন্তু কোনোভাবে
'যদি আমার ব্যাট আটকে না যেত তাহলে আমি সহজের আমার রান সম্পূর্ণ করতে পারতাম। আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম তাহলে এক ওভার আগেই ম্যাচ শেষ করে আসতে পারতাম। কারণ আমাদের তখন মোমেন্টাম ছিল। কিন্তু এরপর দীপ্তি ছিল, রিচা ছিল। আমার বিশ্বাস ছিল তারা পারবে কারণ রিচা সবগুলো ম্যাচেই ভালো ব্যাট করেছে।'
হারমানপ্রীত যোগ করেন, 'আমার রান আউটটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল। না হলে আমরা ম্যাচেই ছিলাম। সবকিছুই আমাদের পক্ষে ছিল। এটা হতাশাজনক কারণ যেভাবে আমি ব্যাটিং করেছি ভিন্ন কোনোভাবে আমাকে আউট করার সুযোগ ছিল না। আমি যেভাবে বল মোকাবেলা করছিলাম। আমি জানতাম কীভাবে আমাকে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে।'
একসময় অস্ট্রেলিয়াও ম্যাচের হাল ছেড়ে দিয়েছিল মনে করেন হারমানপ্রীত। তিনি বলেন, 'এই হারটা খুবই হতাশার। বিশেষ করে একটা সময় ভাল অবস্থায় থাকার পরেও এ ভাবে হেরে যাওয়া। অস্ট্রেলীয়দের দেখে মনে হচ্ছিল, কিছুটা হাল ছেড়ে দিয়েছে। আমি আউট হওয়ার পর নতুন উদ্যমে ঝাঁপায় ওরা। ম্যাচের মেজাজ বদলে দেয়। আমাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করা উচিত ছিল। শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক থাকা দরকার ছিল। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি।’