মালানকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন রয়

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিপিএল খেলতে সিলেটে পা রাখলেন জেসন রয়
৭ জানুয়ারি ২৫
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন দাভিদ মালান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই ইনিংস থেকে পাওয়া শিক্ষাই কাজে লাগিয়েছেন জেসন রয়। অসাধারণ সেঞ্চুরির পর জানিয়েছেন এমনটাই।
যদিও দুই দিনে দুটি ভিন্ন ধরনের উইকেট দেখা গেছে। প্রথম ম্যাচে মালানের খেলেছিলেন ৭৮.৪৫ স্ট্রাইক রেটে। একই ম্যাচে প্রথম ওভারেই ফিরে গিয়েছিলেন রয়। আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রয় খেলেছেন ১০৬.৪৫ স্ট্রাইক রেটে! যদিও প্রথম ম্যাচে মালানের ইনিংসটিই অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে রয়কে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই দারুণ অনুভূতি হয়। প্রথম ম্যাচের ভুল শোধরাতে কঠোর পরিশ্রম করেছি। বাজে একটা ভুল করেছিলাম, রান করতে ক্ষুধার্ত ছিলাম। অতীতে এমন সেঞ্চুরি পেয়েছি, ৪০ পেরোলেই মনে হয়েছে উড়তে পারব। প্রতিটি বাউন্ডারিই আজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। জসের (বাটলার) সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েছি আজ।’

‘প্রথম ম্যাচে আকাশে বল তোলার পর দ্রুতই উপলব্ধি হয়েছে। মালান যেভাবে খেলেছে, আমি বুঝেছি—মাথা ঠান্ডা করতে হবে, সময় নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’
‘আমাদের আরো শিখতে হবে’, সিরিজ হারের পর লিটন
২ ঘন্টা আগে
ম্যাচটিতে নিজের স্কিলের দারুণ প্রয়োগ ঘটান রয়। দারুণ কয়েকটি সুইপ আর রিভার্স সুইপ খেলেন তিনি। ইনিংসে খেলা মোট সাতটি রিভার্স সুইপের মধ্যে চারটিতেই বাউন্ডারির দেখা পেয়েছেন এই ওপেনার।
এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেমন টার্ন হচ্ছিল, তাতে এটাই পরিকল্পনা ছিল। পয়েন্টের ওপর দিয়ে খেলা আমার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ছিল। কাভারের ওপর দিয়ে কয়েকবার মারতে চেয়েছিলাম, তবে গতি ছিল না, বাঁকও অনেক বেশি থাকায় সেগুলো সফল হয়নি। সেটি থেকে দ্রুতই সরে এসেছি। সাকিব যখনই আন্ডার-কাটার পাচ্ছিল, আমার হয়তো সাইটস্ক্রিনের ওপর দিয়ে মারা উচিত ছিল, কিন্তু আমি সুইপের চেষ্টা করেছি। সেটা একটু বাজে সিদ্ধান্ত ছিল। বাউন্ডারি মারার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা সরল রাখতে হয়, যেখানে সবচেয়ে বেশি রান পাবেন সেখানেই মারবেন। সুইপ ও রিভার্স সুইপই আমার বাউন্ডারির একমাত্র উপায় ছিল আজ।’
ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে সাত উইকেটে ৩২৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। রয় করেন ১২৪ বলে ১৩২ রান। ইনিংস সাজানো ছিল ১৮টি চার ও একটি ছক্কায়। ৩৫.৪ ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে বিদায় নেন রয়।
রয় আরও বলেন, ‘আমি তখন একটু মেরে খেলা শুরু করেছি, তখন পর্যন্ত তো কঠিন ছিল। ৩৬ ওভারের মতো হয়েছে, আমি জসকে বলছিলাম, নতুন কারও জন্য কঠিন হবে। যদিও হয়নি সৌভাগ্যক্রমে। পরে ছেলেরা দারুণ মেরেছে। ভবিষ্যতে ৪৫ বা ৪৬তম ওভার পর্যন্ত থাকতে পারলে ভালো লাগবে। এটা একটু হতাশার। তবে বেশ খুশি আমি।’